টুঙ্গিপাড়ায় শোকাবহ আগস্টে শিল্পকলা একাডেমির আর্টক্যাম্প
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৫:৪৫
শোকাবহ আগস্টের মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে আর্টক্যাম্প করেছে।
শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের ১৩ জন বরেণ্য চিত্রশিল্পী এ আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেন। তাদের তুলির আঁচড়ে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও তাঁর পরিবারের সদস্য, বঙ্গবন্ধুর পিতা-মাতা এবং জাতীয় ৪ নেতা ছবি জীবন্ত হয়ে ওঠে।
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের পাবালিক প্লাজায় ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয় স্বপ্ন পুরনে দৃঢ় প্রত্যয়’ প্রতিপাদ্যে আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এরপর দেশ বরেণ্য চিত্র শিল্পী আব্দুল মান্নান, সমীরন চৌধূরী, কীরিটি রঞ্জন বিশ্বাস, দুলাল চন্দ্র গাইন, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মো. আলপ্তগীন, মো. জাকির হোসেন পুলক, আব্দুস সাত্তার তৌফিক, সৈয়দ সাইফ আলী, জয়ন্ত সরকার জন, মো. আজমল হোসেন, সুরভী আক্তার ও নূর মুনজেরীন রিমঝিম আর্টক্যাম্পে ছবি আকা শুরু করেন। ৩ ঘণ্টা আর্টক্যাম্পে ছবি আঁকার কাজ করেন শিল্পীরা। তারা মনের মাধুরী মিশিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, বঙ্গবন্ধুর মাতা-পিতা এবং জাতীয় ৪ নেতার ছবি আঁকেন। ছবিতে শিল্পীরা প্রত্যেকের গুরুত্ব, অবদনাসহ বিভিন্ন দিক রংতুলির ক্যানভাসে তুলে আনেন।
শিল্পী মো. জাকির হোসেন পুলক বলেন, ‘আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ছবি এঁকেছি। ছবিতে মহিয়সী এ নারীকে বঙ্গবন্ধুর নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছি। এজন্য প্রয়োজনীয় রাংএর সমন্বয় করা হয়েছে। ছবিতে বঙ্গমাতাকে একজন পরিপূর্ণ সাহসিকতার প্রতীক হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।’
এর আগে একই স্থানে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ৪ গ্রুপে গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়ার শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী এত অংশ নেয়। পরে শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের মসজিদ চত্বরে ৪০০ শিশুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ।
এর আগে গোপালগঞ্জে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শিশুদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এরপর ৬০০ শিশু বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের বেদীতে প্রত্যেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায়।
শিশু ইমরোজ আহমেদ বলে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুঁকে ধারণ করে বড় হতে চাই। এখানে এসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। ছবি এঁকেছি। সেমিনারে অংশ নিয়েছি। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সেমিনারে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। এখান থেকে বঙ্গবন্ধুকে নতুনভাবে জানতে পেরেছি। এ ধরনের আয়োজন মাঝেমধ্যে করা হলে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুধাবন করতে সক্ষম হব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে পারব।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, আর্টক্যাম্প, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শিশুদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে শিশু সেমিনার করেছি। আমরা শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মনবিক বাংলাদেশ গড়তে সংগ্রাম করছি। শিল্পের শক্তি দিয়ে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের ভেঙে চুরমার করে দেব। আর আমাদের সংগ্রামের সারথি হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। তাদের হাত ধরে ২০৪১ সালে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হব।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স্রে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আর্টক্যাম্প, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।
তথ্যসূত্র : বাসস এবিএন/এসএ/জসিম
তথ্যসূত্র : বাসস এবিএন/এসএ/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ