আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় জেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৬

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২, ১১:১৭

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জেলে তপন দাসকে (৩০) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার সুখাইড় কুইছাহাটি গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়া (৫০), আলাল মিয়া (৩৬), সায়েদ নূর (১৯), আবুল কাশেম (৩২), মরম আলী (২৮) ও ইউসুফ আলী (৩২)। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুখাইড় ভান্ডারবাড়ি গ্রামের জেলে তপন দাসকে গাছের সঙ্গে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তপন বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে ধর্মপাশায় থানায় একটি মামলা করেন। 

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহ¯পতিবার রাতে। তপন দাস বৃহ¯পতিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁর গ্রামের পার্শ্ববর্তী সোনামড়ল হাওরে জাল পেতে মাছ শিকার করতে যান। দিবাগত রাত একটার দিকে ওই হাওরে তপনের পেতে রাখা বেশ কয়েকটি জাল জোরপূর্বক নিয়ে যান একই ইউনিয়নের সুখাইড় কুইছাটি গ্রামের বাসিন্দা আলাল মিয়া (৩৬) ও আবুল কাশেম (৩২)। শুক্রবার দুপুরে তপন তাঁর জাল ফেরত আনতে কুইছাহাটি গ্রামে যান। 

এ সময় আলাল ও কাশেমের কাছে তিনি জাল ফেরত চাইলে তাঁরা তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়ার (৫০) নির্দেশে তাঁর লোকজন তপনকে আমগাছের সঙ্গে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে আটকে রাখেন। এরপর তাকে ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করেন তাঁরা। 

খবর পেয়ে তপনের স্বজনেরা ঘটনাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সুখাইড় বড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মিয়াকে জানান। পরে ওই ইউপি সদস্যদের তৎপরতায় তপন দাস সেখান থেকে মুক্তি পান। 

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গাছের সঙ্গে বেঁধে জেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় সব আসামিকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এবিএন/অরুণ চক্রবর্তী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ