আজকের শিরোনাম :

চট্টগ্রামে ৮ জন করোনায় আক্রান্ত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৪:০১

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।

চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬ জন ও দুই উপজেলার ২ জন রয়েছে। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৮ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৭৮৮ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৮০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাই ও হাটহাজারীতে একজন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন। 

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ২৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। 

বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ জনের দেহে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। এছাড়া, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩, ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৯ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তিন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ২৬ নমুনার সবগুলারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। 

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, এশিয়ান সেপশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডিতে ১১ দশমিক ১১, চমেকহায় ১১ দশমিক ৫৪, সিভাসু’তে ৫ দশমিক ২৬ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং আরটিআরএল, শেভরন ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে শূন্য শতাংশ।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ