আজকের শিরোনাম :

বেড়ার চরাঞ্চলে পানির অভাবে আমন ধান ও সবজির ক্ষেত বিবর্ণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১২:২৭

চলতি বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীর পানি তিন দফা বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েক দিন ধরে নদীতে পানি থেমে যাওয়া এবং ভরা বর্ষা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড খরার কারণে পাবনার বেড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের উঁচু জমিতে ছিটিয়ে বোনা ও রোপণকৃত আমন ধানসহ সবজি ফসল নিয়ে চাষিরা শংকিত হয়ে ভবিষ্যত চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 

চরের কৃষক  ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার চরনাকালিয়া, চরসাঁড়াশিয়া, চরবেঙালিয়া, হাটাইল, আড়ালিয়া, চরপাইখন্দ, চরনাগদাহ, চরসাফুল্লা মৌজাসহ উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল এলাকার শত শত বিঘা জমিতে রোপণকৃত আমন ধান ও সবজি ফসল পানির অভাবে রোদে পুড়ে গাছগুলো বিবর্ণ রুপ ধারণ করেছে। 

চরনাকালিয়া গ্রামের নবী মোল্লা, আমজাদ মাষ্টার, আঃ আজিজ, চরসাঁড়াশিয়া গ্রামের ছাত্তার বেপারী, হাতেম মোল্লা, চরসাফুল্লার গজনবী মোল্লা, চরনাগদাহর ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা, ইসমাইল মাষ্টার, ওমর মোল্লা সহ স্থানীয় অনেকেই বলেন, ভরা বর্ষা মৌসুমে যমুনায় পানি বৃদ্ধি না পাওয়ায় ও চরাঞ্চলের আমন ধানের জমিতে পানি না থাকার কারণে ধানগাছ ও সবজি ফসলের গাছ বেড়ে উঠছে না। আমন ধান ক্ষেতে পানি না গেলে ধান গাছ বড় না হওয়ায় ফলন হয় না।  বর্ষা মৌসুমে কাঙ্খিত পরিমান বৃষ্টি না হওয়ায় ও জমি গুলোতে পানি না থাকার কারণে ইতি মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেতের ধান বিবর্ণ হয়ে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

এসব এলাকার কৃষকরা আরো জানান, যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে নদীতে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বৃদ্ধি না হয় তাহলে চরাঞ্চলের রোপণকৃত আমনধান গাছ মরে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে করে এসব এলাকার চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে বলে মনে করছেন তারা। 

এ প্রসঙ্গে বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত কবির বলেন, প্রথম দফায় জমি গুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমান নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হলে এবং নদীর পানি ফের বৃদ্ধি না পেলে চরাঞ্চলসহ অনেক এলাকায় এ বছর আমন ধানের ফলনে ক্ষতি হওয়ার আংশকা থেকে যাবে।

এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ