দুর্গাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় বেকার হাজারো শ্রমিক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৩:৩৭
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ^রী নদীর বালু মহাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় দশদিন ধরে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সেইসাথে বন্ধ আছে ইজারা স্থল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বালু পরিবহন। এতে করে এলাকার কয়েক হাজার বালু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সমাধানে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না কেউ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্গাপুরের সোমেশ^রী নদীর ৫টি ইজারা মহাল থেকে সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী। সম্প্রতি ওই সমস্ত মহাল থেকে বালু উত্তোলনের পর সড়ক ও জানমালের নিরপত্তায় ভিজা ও ওভারলোড বালু পরিবহনে স্থানীয় প্রশাসন নিষেধ করলে বালু মহালে কর্মরত বালু শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ৩ আগষ্ট থেকে শ্রমিকরা বালু উত্তোলন ও পরিবহন কাজ বন্ধ রাখে। এতে করে ৫টি বালু মহালে কর্মরত ৫ থেকে ৬ হাজার বালু শ্রমিক গত প্রায় দশদিন ধরে বেকার হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ইজারাদাররা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েন।
সোমেশ^রী নদীর ১নং রালু ঘাটের ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ বলেন, শুরু থেকে আমার ঘাটে ভিজা ও ওভারলোড বালু পরিবহন চলমান ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ভিজা ও ওভারলোড বালু পরিবহনে নিষেধ করায় প্রায় দশদিন ধরে ইজারাকৃত চারটি ঘাট থেকে বালু পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১৫দিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিলো, এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দিবস পালনে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় এবছর ইজারাকৃত টাকা উঠানো সম্ভব হবে না। পাশাপাশি ঘাটের শ্রমিকরা বেকার হয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
নেত্রকোনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শ্রমিকরা খুব অসুবিধের মধ্যে আছি। সরকার জ¦ালানী তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, এতে করে পরিবহন খরচও বেড়েছে। সরকার বাসের ভাড়া নির্ধারণ করলেও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রাক মালিক ও বালুর ইজারাদাররা আমাদের কোন ধরণের ছাড় দেয় না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি অচিরেই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে, দুর্গাপুর পৌর সভার মেয়র আলা উদ্দিন আলাল বলেন, বালু পরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি বালু শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও শ্রমিকদের এ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসা উচিত বলে আমি মনে করি।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজিব-উল-আহসান যুগান্তর কে বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক বালু পরিবহন করলে প্রশাসনের কোন আপত্তি বা নিষেধাজ্ঞা থাকবেনা। সড়ক রক্ষা ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ভেজা ও ওভারলোড বালু পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে এ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও করা হয়েছে।
এবিএন/তোবারক হোসেন খোকন/জসিম/াগলিব
এই বিভাগের আরো সংবাদ