আজকের শিরোনাম :

রাণীশংকৈলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তা বন্ধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২, ১২:১৬

৭ বছর পূর্বে স্বামী হারানো বিধবার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করেছে ভাতিজা, ২ বছরেও বিচার পাইনি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশের কাছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা লেহেম্বা ইউনিয়নের চাপোড় পারবর্তীপুর গ্রামে।

সাত বছর পূর্বে স্বামী মারা যাওয়ার পর বিধবা মহিলার উপর নেমে আসে একের পর এক নির্যাতন। একেই তো নাই অর্থ তার পর ও নেই পরিবারে কোন লোক অভিযোগ করে লাভ হচ্ছেনা বিধবা মহিলার। ভাতিজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্তপ তৈরি হয়েছে যেন তার কাছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তাটিও ২ বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জানাযায়, গত ২৯ জুলাই গাছ রোপনের তুচ্ছ  ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট করে ভাতিজারা  বিধবা মহিলা হোসেন আরাকে। গুরুতর আহত হয়ে হোসেন আরা রাণীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে থানায় আতিক হোসেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে চুপচাপ রয়েছে।

এ ঘটনা এছাড়াও ২০২০ সালে বিভিন্ন প্রজাতির ১০টি গাছ জোর পূর্বক কর্তন করা অভিযোগ করে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। সেটিও সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম শালিস করে কোন সুরাহ দেননি। নিরুপায় হয়ে বিষয়টি থানায় জানালেও কোন কাজ হয়নি। ২০২১ সালে মে মাসে আবারও ভাতিজারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিধবা চাচিকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। সে প্রসঙ্গে থানায় অভিযোগ করে ও কোন লাভ হয়নি তার।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী হোসেন আরা আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, বাবু মোর কেউ নাই, চেয়ারম্যানক বিচার দেছু ওয়া দেওনিয়ালাক দায়িত্ব দেছে। পুলিশক অভিযোগ দেছু ওমা ঘটনা দেখে চুপ থাকছে। মোর বিচার কেউ করবেনি তুমা পেপারত দ দেশবাসি জানোক। যে গরিব লোকের বিচার নাই টাকা ছাড়া উপায় নাই।

এ প্রসঙ্গে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি মহিলাটি আইন আদালতে যেতে পারছেনা। আগামি শুক্রবার এর একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এবিএন/মোঃ মোবারক আলী/জসিম/গালিব

এই বিভাগের আরো সংবাদ