আজকের শিরোনাম :

খানসামায় পৃথক স্থান থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২২, ১১:১৭

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় পিতার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পথে ধানক্ষেতে বিবস্ত্র নারী ও ভাবকি ইউনিয়নে জমিচাষ করতে গিয়ে ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক এবং আম বাগান থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনা ৩টি গত গত ২৯ জুলাই শুক্রবার ঘটেছে। একদিনেই তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
 
জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের মাড়গাও গ্রামের রেয়াজ ডাক্তারপাড়ায় জমিচাষ করতে যায় ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক ইউনুস আলী। 

এ সময় চাষকৃত জমিতে ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক ইউনুস আলীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় লোকজন। এ সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয় যায় ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক ইউনুস আলীর। কিন্তু ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক ইউনুস আলীর পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। 

একইদিনে সন্ধ্যার দিকে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া গ্রামের কুমারপাড়ার পিতার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধানক্ষেতে মিলন ওরফে মিশন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী অপো রানী রায়ের (২৩) বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। মরদেহের পাশেই নিহতের সাথে ১০ বছরের মেয়ে বিপাশা রানী রায়কে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় পথচারীরা স্থানীয় লোকজনদের ডাকাডাকি করে এবং থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট করে। অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরিবারের দাবি, নিহতকে গণধর্ষণের পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

অপরদিকে, একইদিনে সকালে উপজেলার ভেড়ভেড়ী গ্রামের সায়েদ চেয়ারম্যানপাড়ায় একটি আম বাগান থেকে সাদেকা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারী সাদেকা বেগম (৩২) উপজেলার তেবাড়িয়ার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে।

নিহতের ভগ্নিপতি মাহাবুর ইসলাম জানান, তাদের ১৫ বছর আগে জাহাঙ্গীর ইসলামের বিয়ে হয়েছিল। সেখানে ৩টি ছেলে সন্তান রয়েছে। সংসারে খুটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রায়শই ঝগড়া ও নির্যাতন করায় তাদের তালাক হয়। পরে পরিবারকে না জানিয়ে নীলফামারীর দারোয়ানী এলাকায় সলেমান মিস্ত্রির সাথে বিয়ে হয় সাদেকার। নতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাচ্চাদের খোঁজখবর নিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসে। এরপর সকালে জানতে পারি সাদেকাকে কে বা কারা হত্যা করে মরদেহ আমবাগানে ফেলে রেখেছে।

খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ৩টি উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সঠিক তথ্য জানা যাবে। ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি।

এবিএন/মো. রফিকুল ইসলাম/জসিম/গালিব 

এই বিভাগের আরো সংবাদ