আজকের শিরোনাম :

চলতি মাসেই চালু হচ্ছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২২, ২৩:৩১

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি (পিসিটি) চলতি জুলাই মাসেই চালু হতে পারে। টার্মিনালের প্রায় ৯৫ শতাংশ নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। টার্মিনালটি চালু হলে বছরে সাড়ে ৪ লাখ টিইউস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের আশা করা হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান নির্মাণাধীন প্রকল্প পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) সার্বিক বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ঈদুল আজহার পরপরই টার্মিনাল চালু করতে চান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিটিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে পিটিসির প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। এখন শুধু শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে এবং এ মাসে চালু করা হবে।

বন্দর সূত্র জানায়, প্রায় ৩২ একর জমির ওপর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ মাসেই এটি চালু করার চেষ্টা রয়েছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে পরিচালিত হবে। এ জন্য ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল’ প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার।

২০১৭ সালের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পিসিটি প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর কাছে প্রকল্পের কাজ হস্তান্তর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এক বছর কাজ চলার পর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে দেখা দিলে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এরপর পিসিটি টার্মিনালের নির্মাণকাজ আবার পুরোদমে শুরু হয়ে এগিয়ে যায়।

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) প্রকল্পের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পে রয়েছে ৩২ একর জায়গায় ৬০০ মিটার জেটিতে তিনটি জাহাজ বার্থিং করতে পারবে।

এ ছাড়া আরও একটি ২০৪ মিটার একটি ডলফিন জেটি, ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ ইয়ার্ড এবং রাস্তা রাখা হয়েছে। ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কনটেইনার ফ্রেট স্টেশন শেড (সিএফএস), ৬ মিটার উচ্চতার ১ হাজার ৭৫০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গমিটার পোর্ট অফিস ভবন, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটার যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানা, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, চার লেন এক দশমিক ২০ কিলোমিটার সড়ক। এ ছাড়া সিকিউরিটি পোস্ট, গেস্টহাউস, ফুয়েল স্টেশন এবং লেবার শেড থাকবে।

এবিএন/আব্দুর রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ