আজকের শিরোনাম :

এক দিন পরই জামিনে বের হলেন বনমন্ত্রীর জামাতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২২, ১৮:৪৭

কারাগারে যাওয়ার এক দিন পরই জামিনে বের হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের জামাতা গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাহেলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। 

জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রাহেল কারাগার থেকে মুক্তি পান।

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল নবীগঞ্জ শহরের হাসপাতাল সড়ক এলাকার মৃত গোলাম রব্বানীর ছেলে এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের মেয়ের স্বামী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনের আগের দিন ১৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর লোকজনের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে ছাবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই শফিক আহমেদ চৌধুরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন রাহেল। দ্রুত তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। এ ঘটনায় ছাবির আহমেদ চৌধুরীর চাচাতো ভাই হাদিছ মিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ৩০ মার্চ মামলার চার্জশিট দেয় পিবিআই। চার্জশিট আদালতে গৃহীত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়।

সোমবার (৪ জুলাই) মামলার ২নং আসামি গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। একদিনের মাথায় মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাহেলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও অ্যাডভোকেট কুতুব উদ্দিন জুয়েল। উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রি শেখর পুরকায়স্ত টিটু বলেন, আমরা আদালতে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হলো সিআইডি প্রথমে মামলাটি মিথ্যা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার পিবিআই সত্য বলে প্রতিবেদন দেয়। কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা সঠিকভাবে কেউ দেখেনি। সবকিছু বিবেচনা করে আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ