আজকের শিরোনাম :

বিষ দিয়ে অর্ধশতাধিক ঘুঘু হত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২২, ১৫:৪৭

চাঁদপুরের হাইমচরে বিষ প্রয়োগ করে অর্ধশতাধিক ঘুঘু পাখিকে হত্যা করা হয়েছে। ধানের বীজতলা খাওয়ায় কৃষকরা জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন। এতে অন্তত ৫০টি ঘুঘুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। 

মঙ্গলবার ২৮ জুন হাইমচর উপজেলার ৩ নম্বর আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরপোড়ামুখী গ্রামের ফসলের মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় লোকজন ও শিশুরা মৃত পাখিগুলো উদ্ধার করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। এতে সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সচেতন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুঘু সহ অন্যান পাখি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রামাঞ্চলের ফসলের মাঠে ধানের বীজতলা, চাল, গম, ডাল, সয়াবিন চাষের সময় ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রকৃতির পাখি দেখা যায়। এখন আর এসব পাখি আগের মতো দেখা যায় না।

কিন্তু আমন ধানের বীজতলা এবং ধান রোপণ করলে ঘুঘুসহ নানা প্রজাতির পাখি খেতে আসে, সেগুলোও বিষ প্রয়োগে হত্যা করে কিছু অসচেতন কৃষক। বিষয়টি কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। অবিলম্বে পাখি হত্যা বন্ধ করার দাবি জানান।

সরেজমিন দেখা যায়, ফসলি মাঠ ও বিভিন্ন গাছপালায় পাখিগুলো বিষক্রিয়ায় অবস্থায় মরে যেতে দেখা যায়। সে পাখিগুলো শিশুরা বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কোনো কৃষক দায় শিকার করে না।

ধান বীজতলা রোপণকারী কৃষক আলী উকিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে তা আমার জানা নাই। আমাকে ফাসানোর জন্য কেউ একজন ফেলে রেখে গেছে। পাখি হত্যা করা অপরাধ এটা আমারদের জানা আছে বলে দায় এড়ান তিনি।

উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন কাজী জানান, আমরা বন্য প্রাণী আহত বা আক্রান্ত হলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে ফসলি জমিতে পাখি হত্যা হলে আমাদের কিছু করার থাকে না। এটি কৃষি বিভাগের আওতায় তারাই ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, বিষ প্রয়োগ করে ঘুঘুসহ পাখি হত্যা করা শুধু অপরাধই নয়, পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। ঘটনাটি আমাদের জানা নাই। তবে যারাই এ অমানবিক কাজ করেছে, আমরা খোঁজখবর নিয়ে কৃষক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ