আজকের শিরোনাম :

রৌমারীর বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করলেন প্রতিমন্ত্রী জাকির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২২, ২০:২৮

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আকষ্মিক বন্যায় পানিবন্দি পরিবারের মাঝে নৌকা যোগে ত্রাণ বিতরণ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (এমপি)। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বারবান্দা,  চুলিয়ারচর, বকবান্দা, নামা বকবান্দা, খেওয়ারচর, বিক্রিবিল, কলাবাড়িসহ বিভিন্ন  এলাকার পানিবন্দি ৬০০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেন তিনি। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি মুড়ি, ৫০০ গ্রাম চিনি ও ৫০০গ্রাম লবণ। 

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত ত্রান রয়েছে। কেউ না খেয়ে থাকবে না। আপনারা সাময়িক কষ্টে  আছেন। আমি চেষ্টা করছি তারাতারি আপনাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে এবং যাদের বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদের তালিকা প্রনোয়ন করা হবে। তালিকা অনুযায়ী তাদের সহোযোগিতা করা হবে। যেগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গিয়ে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে সেগুলো আমি নিজে থেকে পর্যবেক্ষণ করছি,প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী আরোও বলেন, পানিবন্দি মানুষদের জন্য প্রশাসণ ত্রাণ নিয়ে সজাগ থাকায় তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।

ত্রাণ বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্ল্যাহ্, জেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আশরাফুল আলম রাসেল, প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান প্রমুখ।

ত্রাণ পাওয়া আক্কাস আলী বলেন, অনেকদিন ধরি বাড়ি থেকে বের পারোম না,কেউ আমাগো দেখতেও আসে নাই, আজকে আমাগো মন্ত্রী নৌকা দিয়ে খাবার নিয়ে আসছে।এতে আমরা সবাই খুশি।  

গুচ্ছ গ্রামের জয়নব বেগম বলেন,আমি বিধবা মানুষ। ঘরে চাল প্রায় ফুরিয়ে আসছে, কি খামু চাল শেষ হলে তাই নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।আজকে তাও ত্রাণ পেয়ে চিন্তা অনেক টা কমলো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। আবহাওয়া ভালো থাকায় পানি কমতে শুরু করেছিলো। আজকে সকালে  ভারী বর্ষণে আবারও পানি অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল  বলেন,প্রাথমিক ভাবে ৬০০ পরিবারে মাঝে শুকনা খাবার পৌঁছে দিয়েছে।  পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্যক্রম অব্যহত থাকবে। 

প্রসঙ্গত, ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামর রৌমারীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।পাহাড়ি ঢলে উপজলার জিঞ্জিরাম, কালোর নদী ও ধরণী নদীর পানি বদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে ৪৯ গ্রামের ৫১ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে ৫৯২হেক্টর জমির ফসল ও ৫৬ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক। পানি উঠায় ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। নৌকা ও কলাগাছের ভেলা পারাপারের একমাত্র ভরসা এসব এলাকার মানুষের। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। 

এবিএন/জাহিদ/জসিম/আব্দুর রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ