সালথায় সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু, আটক ১

ফরিদপুরের সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত আসাদ শেখ (৩৮) নামে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশীয় অস্ত্রসহ এক জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান উত্তেজিত খারদিয়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি উভয় নিহতদের বাড়িসহ ভাঙচুর হওয়া বাড়িতে গিয়ে খোজখবর নেন। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো:  সুমিনুর রহমান ও সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক।

বুধবার (২৫ মে) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আসাদ। সে উপজেলার যদুনন্দি ইউনিয়নের বড় খারদিয়া কাজিপাড়া এলাকার হাসেম শেখের ছেলে। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন আসাদ শেখের ছেলে রামীম শেখ।

জানা যায়, এলাকার দলপক্ষকে কেন্দ্র করে যদুনন্দি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক মোল্যার সমর্থকদের সাথে যদুনন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুই গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে সংঘর্ষে ঝাপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হন।

এসময় ৫০টি বসত বাড়িঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় আলমীগের সমর্থকরা। লুটপাট করা হয় ঘরে থাকা টাকা পয়সা ও আসবাবপত্র। সংঘর্ষে আহত আলমগীরের সমর্থক সিরাজুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হন। গুরুতর আহত হন যদুনন্দি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক মোল্যার সমর্থক আসাদ শেখ।

আহত আসাদ শেখকে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান তিনি। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বুধবার রাতে রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ীতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এসময় দেশীয় অস্ত্রসহ উজিরপুর গ্রামের নুর ইসলামের লস্করের ছেলে সামাদ লস্করকে গ্রেফতার করে।

ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো: সুমিনুর রহমান বলেন, গত ৫ মে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আসাদ শেখ আহত হয়। বুধবার রাত ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মারা যাওয়ার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশীয় অস্ত্রসহ এক জনকে আটক করা হয়েছে।

এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/আব্দুর রাজ্জাক