আজকের শিরোনাম :

শিশুকে কুপিয়ে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ০১:১২

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের শিশুপুত্র আল রাফসানকে (৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে এক ব্যক্তি শিশুটিকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যানে স্ত্রী দিলজাহান বেগম রত্না (৩৫) এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এরশাদ মোল্লা মোবাইল টাওয়ার থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার বিকেল ৪টার পরে সদরপুর উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী আল রাফসান ও দিলজাহান বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল রাফসানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিলজাহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতাল ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।  

সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওমর ফয়সাল বলেন, রাফসানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। দিলজাহানের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চাপাতি দিয়ে এ ঘটনাটি এক ব্যক্তি ঘটিয়েছেন। তার নাম এরশাদ মোল্লা (৩৫)। তিনি ঢেউখালী ইউনিয়নের ঢেউখালী মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা।  

গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে সদরপুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান দুই ছেলের বাবা। তার ছোট ছেলের নাম আল রাফসান। রাফসান স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  

এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ-সংক্রান্ত একটি সালিসের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ হয় একটি পক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।  

চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঢাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর ভাইয়ের কুলখানী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে তিনি ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।  

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করায় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে রাফসান ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান। তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ’

বুধবার সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এরশাদ মোল্লা সদরপুর বাজারের পাশে মোবাইল টাওয়ারের ওপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ছাড়া এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লাকে বিক্ষুব্ধ জনতা পিটুনি দিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ