ধর্মপাশায় মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর কাছে ২০ দিনেও চাহিদা মতো বই পৌঁছেনি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২৪

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার মাধ্যমিক, দাখিল ও ইবতেদায়ি পর্যায়ের ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর হাতে এখনও চাহিদা মতো বই পৌঁছেনি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে বই সরবরাহ না করায় এসব শিক্ষার্থী নতুন বই পায়নি।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও বই না পেয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা। চাহিদা অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণির সবক'টি বই এলেও অন্যান্য শ্রেণির সব বই না আসায় উপজেলা সদর থেকে দূরে অবস্থিত কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাধিকবার পরিবহন খরচের ভয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির বই সংগ্রহ করেনি। এ ছাড়া বই সংকট রয়েছে ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোতে।

এ বছর ধর্মপাশা ও মধ্যনগরের মাধ্যমিক, দাখিল ও ইবতেদায়ি পর্যায়ের ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৫২ কপি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণির সব বই, অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রতি সেটের কয়েকটি বই সরবরাহ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। কিন্তু সপ্তম শ্রেণির কোনো বই এখনও সরবরাহ হয়নি। ফলে সপ্তম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী এখনও নতুন বই পায়নি। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ছয়টি করে এবং নবম শ্রেণির প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য একটি বা দুটি করে বই এসেছে।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুর্গম এলাকার ভোলাগঞ্জ সার্বজনীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জু মিয়া বলেন, 'সব বই একসঙ্গে না নিলে পরিবহন খরচ বেশি পড়ে। তাই এখনও কোনো বই সংগ্রহ করিনি।'

ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান তালুকদার বলেন, 'আমরা শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির বই পেয়েছি।

জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক খান বলেন, 'ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু বইসহ অষ্টম শ্রেণির প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ছয়টি করে এবং নবম শ্রেণির দুটি করে বই পেয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ কামরুল হাসান কর্মস্থলে নেই। তিনি মোবাইল ফোনের কল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে একই কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার জাহাঙ্গীর হোসেন মোহাম্মদ ফারুক বলেন, 'কর্তৃপক্ষ যেভাবে বই পাঠাচ্ছে, আমরা সেভাবে গ্রহণ করছি।

 

এবিএন/ইমাম হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ