আজকের শিরোনাম :

আদমদীঘিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আদালতে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১০

বগুড়ার আদমদীঘিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে  হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত স্বামী  শিক্ষক শিরীশ চন্দ্র পালকে ৫৪ ধারা আদালতে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় কোন হত্যা মামলা দায়ের হয়নি।

জানা যায় আদমদীঘির রামপুরা গ্রামের ক্ষুদিরাম চন্দ্র পালের ছেলে শিরিশ চন্দ্র পাল (৩৩) দেড় বছর পূর্বে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কল্যাণী গ্রামের স্বপন চন্দ্র পালের কন্যা বন্ধনা রানী পাল (২৮) কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। চাকুরীল সুবাদে শিরিশ চন্দ্র পাল মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর ছোট ধামাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন সে সুবাদে তার স্ত্রী বন্ধনা রানী পালকে সাথে নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। গতকাল ২০ শে জানুয়ারি কর্মস্থলের বাসায় স্ত্রী বন্দনা রানী পাল মারা যায়।

বন্ধনা রানীর পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানিয়ে মৌলভীবাজার থেকে লাশটি আদমদীঘি রামপুরা গ্রামের নিয়ে আসে এবং তড়িঘড়ি করে লাশটি পরানোর চেষ্টা করে। বন্দনার পরিবার লাশ দেখতে চাইলে তাদেরকে লাশ দেখতে না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন। অনেক কাকুতি মিনতি করার পর বন্ধনার পরিবার অবশেষে আদমদীঘি থানা পুলিশের আশ্রয় নেন । পুলিশ লাশ বন্ধনার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসলে লাশ দেখে সন্দেহ হয় বন্দনা রানী পাল কে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বন্ধনা রানীর পরিবার হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিম মামলা গ্রহন করেনি। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।

গ্রেফতারকৃত শিক্ষক শিরিশ চন্দ্র পাল কে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। লাশের সুরতহাল তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রদীপ কুমার লাশ উদ্ধার ও শিরিশকে গ্রেফতারে কথা নিশ্চিত করে বলেন, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় আদমদীঘি থানায় মামলা গ্রহন করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, গলার নিচে ও পিটে আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে তবে ময়না তদন্তের রিপোট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানাযাবে।

 

এবিএন/আনোয়ার হোসাইন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ