আজকের শিরোনাম :

সৈয়দপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার : আটক ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩৮

নীলফামারীর সৈয়দপুরের নিখোঁজের চার দিন পর লাভলী বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর লাবিব (৬) এবং মাওয়া (৪) নামের দুই শিশু সন্তান রয়েছে। আজ (২৬ নভেম্বর) শুক্রবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পশ্চিমপাড়ায় এলাকায়।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী রেজাউল ইসলাম (৩০) ও শ্বাশুড়ী ইছরা বেগমকে (৫০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের তাজনগর বল্লামপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে লাভলীর বেগম সঙ্গে গত ২০১৩ সালে বিয়ে হয় সৈয়দপুর উপজেলার উল্লেক্ষিত এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে রেজাউল ইসলামের সাথে। ওই গৃহবধূ লাভলী বেগমকে গত (২৩ নভেম্বর) মঙ্গলবার থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর নিখোঁজের বিষয়ে স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করা হয়। এছাড়া তাঁর সন্ধানে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় গত (২৬ নভেম্বর) শুক্রবার সকালে নিখোঁজ গৃহবধূ লাভলীর মরদেহ তাঁর বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে দেখতে পান একই এলাকার মানুষজন। পরে থানায় খবর দেয়া হলে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবীব ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁশঝাঁড় থেকে লাশ নামিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
ওই গৃহবধূকে ২/১ দিন আগে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন।

তবে নিহত গৃহবধূর নিকটাত্মীয় মামা ও ফুফু অভিযোগ করে বলেন, ওই গৃহবধূ লাভলীর স্বামীই তাকে দম্পাত্য কলহের কারণে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আর হত্যা ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে থানায় ডায়েরী ও মাইকিং করে বলে প্রচার করেন।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে নিহতের স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে আটক করা হয়েছে। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
 

এবিএন/এম. ওমর ফারুক/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ