আজকের শিরোনাম :

বেড়া পৌর নির্বাচনে ট্রামকার্ড হতে পারে বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৭:০১

আর মাত্র ৬০ ঘন্টা পরেই শুরু হবে বেড়া পৌর সভার মেয়র,১০ জন কাউন্সিলার ও সংরক্ষিত ৩ জন মহিলা কাউন্সিলারকে নির্বাচিত করতে পৌর এলাকার ৪২ হাজার ৮শ’১৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনে সব ধরনের  নির্বাচন থেকে বিরত থাকায় এবং অন্যান্য দলের পক্ষে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা না থাকায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ,আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ৫ জন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। মেয়র নির্বাচনে ট্রামকার্ড হিসেবে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ভোটাররা ভুমিকা রাখতে পারে।

আগামী ২৮ নভেম্বর পাবনার বেড়া  পৌরসভা নির্বাচন ইলেক্ট্রানক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত পৌরসভার ১০টি ওর্য়াডেই নৌকা প্রার্থীর জনপ্রিয়তা সবার উপরে। ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের মনোনীত যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এ্যাড. এস এম আসিফ শামস রঞ্জনের ব্যক্তিত্ব ভোটারদেরকে দারুন ভাবে আকৃষ্ট করছে। নতুনত্বের আশ্বাসে উজ্জীবিত নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ড মহল্লায় সরেজমিনে ঘুরে এমনি আভাস পাওয়া গেছে।

পৌর সভার ১০ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লায় প্রায় প্রতিদিনই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জেলা,উপজেলা,পৌর সভা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা,সমর্থক ও ভোটারদের সমন্বয়ে মিটিং. মিছিল, গণসংযোগ, শো-ডাউন নির্বাচনি সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পক্ষান্তরে অন্য ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একনাগারে প্রায় দুই যুগ ধরে বেড়া পৌরসভার মেয়র পদ অলংকিত করে রেখেছেন বর্তমান পৌর মেয়র সাংসদ এ্যাড. শামসুল হক টুকুর আপন ভাই ও নৌকার প্রার্থী এস এম আসিফ শামস রঞ্জনের চাচা বেড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি পদ হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী ঝানু রাজনীতিবিদ,ভোট মেকার হিসেবে খ্যাত মো.আব্দুল বাতেন তার সর্মথকদের নিয়ে গণসংযোগ করে চলছেন এবং দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক কলা-কৌশলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভোটারদের সর্মথন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রেল ইঞ্জিন প্রতীকের প্রার্থী পাবনা জেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ এইচ এম ফজলুর রহমান মাসুদ নির্বাচনী মাঠে নীরবে ভোটারদের মন জয় করে নির্বাচনি বৈতরনী পাড় করার চেষ্টায় রয়েছেন।

অন্য দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন হলেন সাংসদ এ্যাড. শামসুল হক টুকুর আপন বড় ভাইয়ের মেয়ে মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী এস এম সাদিয়া আলম ও অন্যজন জগ মার্কা প্রার্থী  কে এম আব্দুল্লাহ যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে একেবারেই নতুন। ১০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ৩টি কাউন্সিলার পদে ১২ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় শেষ মূহুর্তে চলছে জোরে-সোড়ে প্রচার-প্রচারণা।
 
অনেক আ.লীগ, বিএনপি সর্মথক ও ভোটারদের সাথে আলাপ কালে তারা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র নারিকেল গাছ মার্কা প্রার্থী মো. আব্দুল বাতেনের তৎপরতা কিছুটা কম দেখা গেলেও নৌকার প্রার্থী এস এম আসিফ শামস রঞ্জন এইদু’জনের মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেক বিজ্ঞ জনেরাই অভিমত ব্যক্ত করেন যে,আপাত দৃষ্টিতে বেড়া পৌরসভার ভোটার আওয়ামী লীগ ভাবাপন্ন মনে হলেও মুলতঃ বেড়া পৌর সভায় ৪২ হাজার ৮শ’ ১৮ জন ভোটের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি জামায়াত-বিএনপি জোট ভাবাপন্ন। নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির কোন মেয়র প্রার্থী না থাকায় তারা ভোট কেন্দ্রে গেলে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও ১০ টি ওর্য়াড কাউন্সিলার ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার পদে বিএনপি সর্মথিত প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ সরাসরি নির্বাচনি মাঠে না নামলেও তাদের কাউন্সিলার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা প্রচারনা মাঠে তৎপর রয়েছে। বেড়া পৌর সভার মেয়র নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ভোটাররা ট্রামকার্ড হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে নির্বাচনি বোদ্ধারা মনে করেন।


এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ