আজকের শিরোনাম :

আত্রাইয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গেটকিপারের দায়িত্ব পালন করছেন দুই যুবক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৭

নওগাঁর আত্রাইয়ে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে সবাইকে রক্ষা করতে স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেদের অর্থায়নে রেলগেট নির্মাণ করে দিন-রাত নিরলসভাবে গেটকিপারের দায়িত্বপালন করছেন আনোয়ার হোসেন নামের এক কলেজ পড়–য়া ছাত্র ও তার বন্ধু মামুন। দু‘জনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও তারা মানবসেবা হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৫ মাস যাবত। সরকারীভাবে এখানে গেটকিপার না থাকায় দুর্ঘটনার সমুহ সম্ভাবনা থেকে বাঁচাতে তাদের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

শান্তাহার থেকে নাটোর পর্যন্ত রেললাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে তৈরি হয়েছে নওগাঁ-আত্রাই- নাটোর “আঞ্চলিক মহাসড়ক”। এ সড়ক নির্মিত হওয়ার পর থেকে অনেকটা বিনোদন প্রেমীদের নতুন স্পটে পরিণত হয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন এ আঞ্চলিক মহাসড়কে শত শত বিনোদন প্রেমীরা ঘুরতে আসে।

এ ছাড়াও উপজেলার রেবাহোসন, শিমুলিয়া, পৌঁতা, তেঘর, জামগ্রাম, তিলাবদুরি, ভোঁপাড়াসহ রেললাইনের পর্ব এলাকার হাজার হাজার লোকের শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন ও আত্রাই উপজেলা সদরসহ নওগাঁ-শান্তাহার শহরের সাথে যোগাযোগের এক মাত্র সংযোগ সড়ক বেড়াহাসন রাস্তা। শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ দিকে বেড়া হাসনের রাস্তা থেকে রেললাইন পার হয়ে আঞ্চলিক মহা সড়কে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে শত শত যানবাহন। এদিকে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান হলেও রেললাইন পারাপারে এখানে নেই সরকারী কোন ব্যবস্থাপনা এবং ছিলনা কোন রেলগেট। তাই শিমুলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও পাশর্^বর্তী বেরাহোসন গ্রামের মামুন নিজ উদ্যোগে গেট নির্মাণ করে যাত্রীদের রেললাইন পারাপারে বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। সেখানে রৌদ্র ও বৃষ্টি থেকে বাঁচতেও বানানো হয়েছে অস্থায়ী টিনের বেড়ার একটি ঘর।

সরেজমিনে আনোয়ার হোসেনের ও মামুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের সাথে রয়েছে শাহাগোলা ও আত্রাই গেট কিপারদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। তাদের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রতিনিয়ত ট্রেন আসার আগেই গতিরোধক ব্যারিয়ার সিগন্যাল ফেলে যানবাহনের গতি রোধ করা হয়। আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মো. ছাইফুল ইসলাম জানান, এ লাইনের উপর দিয়ে দিন রাতে ১৪ জোড়া যাত্রীবাহি এবং কয়েটি মালবাহি ট্রেন চলাচল করে থাকে। এত বিপুল সংখ্যক ট্রেন চলাচল করলেও রেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ওই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু জনস্বার্থে রাস্তাটির সংযোগ রেললাইনের সাথে দেয়া হয়েছে তাই ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে সবাইকে বাঁচাতে দুই বন্ধুর এ উদ্যোগ আসলেই প্রশংসনীয়। এখানে একটি স্থায়ী রেলগেট প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।

এবিএন/রুহুল আমিন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ