আজকের শিরোনাম :

ধুনটে সরকারি চাল বিক্রির দায়ে আ’লীগ নেতা ভাইয়ের ডিলারশিপ বাতিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১২:২৯

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির দুস্থদের ভিডিজির চাল কালোবাজারে বিক্রির দায়ে কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারেজ উদ্দিন আকন্দের ছোট ভাই সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমিনুল ইসলাম ঠান্ডুর ডিলারশীপ বাতিল করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে গত ১৪ নভেম্বর ধুনট উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।    

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কান্তনগর বাজারে সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় দুস্থদের মাঝে ভিডিজির চাল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সেই চাল দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করেই কালেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার আমিনুল ইসলাম ঠান্ডু তার লোকজনকে দিয়ে ২৭ অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে কান্তনগর বাজার থেকে ট্রাকে লোড করে সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।

এমন সময় স্থানীয় লোকজন সরকারি জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বর থেকে বিষয়টি ধুনট থানায় অবগত করলে পুলিশ রাত ৪টার দিকে ধুনট উপজেলার কান্তনগর বাজার এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি ৩ হাজার ১৯০ কেজি চাল সহ কাজিপুর উপজেলার পারুলকান্দি গ্রামের বিষা প্রমানিকের ছেলে ট্রাক চালক শাহ আলমকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আটককৃত ট্রাক চালকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি কালেরপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিন আকন্দের ছোট ভাই ডিলার আমিনুল ইসলাম ঠান্ডু সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ডিলার আমিনুল ইসলাম ঠান্ডু ঈশ^রঘাট গ্রামের জালাল উদ্দিন আকন্দের ছেলে।

এব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করেই ডিলার আমিনুল ইসলাম ঠান্ডু সেই চাল কালোবাজারের বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।

এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ১৯০ কেজি চাল সহ ট্রাক জব্দ করে এবং চালককে গ্রেফতার করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিলার আমিনুলি ইসলাম সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় আমিনুল ইসলামের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের অপর ডিলার ফারহান ইসতিয়াক সনমকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলকৃত ওই ডিলারের অবিক্রিত ৭ হাজার ৯৫০ কেজি চাল সরকারি মূল্য অনুযায়ি বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার ফারহান ইসতিয়াক সনমকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ইউপি সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এবিএন/ইমরান হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ