আজকের শিরোনাম :

বেড়ায় কলার পাতার ঘর দিয়ে বক নিধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২৬

কলার পাতার ঘর, বিষটোপ এবং জাল ফাঁদ পেতে নির্বিচারে বক, কাদাখোঁচা, রাতচোরাসহ নানা প্রজাতির পাখি শিকার করছে এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারিরা। বানের পানি নেমে যাওয়ায় অভিনব কায়দায় নির্বিচারে শিকার করা হচ্ছে বক পাখি, রাতে এবং ভোরে শিকার করা এসব পাখি প্রশাসনে দৃষ্টিকে ফাঁকি দিয়ে কখন কখন স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে তারা।

পাবনার বেড়া উপজেলার ফসলের মাঠে,নদীর তীঁরে ও বিল বাওড়ের পারে ফাঁদ পেতে শিকার করা হচ্ছে পাখি। বাঁশ এবং বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বানানো ডাং-এর উপর পায়ে রশি বেঁধে বসিয়ে রাখা হয় শিকারি বক টিকে। ডাং-এর সেই বক-ই মূলত  পাখি শিকারের প্রধান অস্ত্র। শিকারি বকের ডানা ঝাঁপটানো দেখে আশপাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বক এসে পড়ে কলাপাতা দিয়ে বানানো পাখি শিকারের সেই ঘরে। কলার পাতার উপর বক বসার সাথে সাথে কলার পাতা বকের ভারে নীচের দিকে নেমে আসে আর ঘরে লুকিয়ে থাকা শিকারিরা এসব বক ধরে। প্রতিদিন ভোর ও সন্ধ্যায় এভাবেই নির্বিচারে বক শিকার করছে এক শ্রেণির অসাধু শিকারিরা।

বুধবার দুপুরে বক ধরার ফাঁদ পাতার খবর পেয়ে আমিনপুর থানা পুলিশ উপজেলার পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মাঠে পৌঁছালে শিকারিরা পালিয়ে যায়। বক ধরার ফাঁদ কলার পাতার ঘর গুলি ভেঙ্গে ফেলে এবং বক ধরার ব্যবহত উদ্ধার করে অবমুক্ত করে দেয়। পুলিশ অফিসার পরবর্তীতে ফাঁদ না পাতার জন্য সবাইকে পরার্মশ দেন।

স্থানীয়রা বলেন, বানের পানি নেমে যাচ্ছে। কাদা-জলে ছোট বড় নানা প্রজাতির মাছ,শামুখ ও পোকা মাকড় থাকে। সে সব খেতেই দানের ক্ষেতে,নদী ও বিল বাওর এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে আসে বকসহ নানা পাখি। বিল জলাশয়ে পাখির এমন অবাদ বিচরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন এসব অসাধু শিকারিরা।

বিষটোপ, জাল পেতে এবং কলাপাতার ঘর ও বিশেষ ফাঁদ পেতে নির্বিচারে বক, কাদাখোঁচা, রাতচোরাসহ নানা প্রজাতির পাখি শিকার করা হচ্ছে।
       

২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে পাখি শিকারিদের জন্য ১ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান থাকা সত্তেও শিকারীরা ক্রমাগত শিকার করে যাচ্ছে বিরুপ আবহাওয়া প্রকৃতিতে টিকে থাকা আমাদের পাখীকুলকে।
 

শিকার করা এসব বক,কাঁদাখোচা,রাতচোরা এক জোড়া ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করে থাকে। তবে এসব পাখি শিকারিরা জানান, সব ধরনের পাখি শিকার করা যে অপরাধ তা তারা জানেন না।


এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ