আজকের শিরোনাম :

মিরসরাইতে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২১, ১৭:২১

চট্টগ্রামের মিরসরাইতে এক নববধু অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের চাচা আজিজুর রহমান বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

তবে গৃহবধূুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুর শাশুড়িকে দায়ি করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মিরসরাই থানা পুলিশ। শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার সাহেরখালী ভোরের বাজার সংলগ্ন ভেলূ ড্রাইভার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত মাইমুনা মাহি (১৯) খৈয়াছরা ইউনিয়নের নিজতালুক এলাকার মেহেরুল মুন্সী বাড়ির মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। তিনি নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।  

প্রত্যক্ষ দর্শী ও স্থানীয়দের বক্তব্যে জানা গেছে, গত ৩ মাস পূর্বে মাইমুনার সঙ্গে সাহেরখালী ভোরের বাজার ভেলু ড্রাইভার বাড়ির মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে প্রবাসী ইকবাল হোসেন রিপনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর মাইমুনার বাবা মারা যায়।

শশুরের মৃত্যুতে পুরো পরিবারের দায় দায়িত্ব এসে পড়ে নতুন জামাই ইকবালের কাঁধে। নিজের সংসারের পাশাপাশি শশুরের সংসার ও ঠিকঠাক মতো চালাচ্ছে ইকবাল। তবে কলেজ পড়ুয়া মাইমুনার অনেক বন্ধু বান্ধব। মাইমুনা মোবাইলে তাদের সাথে কথা বলে সময় কাটতে পছন্দ করে।

স্বামী ইকবাল বিষয়টি অপছন্দ করলেও সরাসরি নিজে কিছু বলেনি। শাশুড়িকে বিষয়টি অবগত করে, আর অনুরোধ করে যেন মাইমুনাকে বলে ছেলে বন্ধুদের সাথে কথা কম বলতে।

মাইমুনার মা মাইমুনাকে বিষয়টি নিয়ে বকাঝকা করে শুক্রবার রাতে। নিজের মেয়েকে বুঝিয়ে বলেন যে তোমার বাবা মারা গেছে, তোমার স্বামী পুরো পরিবারটা চালাচ্ছে। তুমি স্বামী সংসারী না হয়ে কার সাথে এতো কথা বল? এসব বন্ধ কর সংসার মুখি হও।

ধারণা করা হচ্ছে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বারণ করায় অভিমান করে সুযোগ বুঝে মাইমুনা আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার দিন ৩১ জুলাই বিকাল ৫টায় মাইমুনা ও তার স্বামী ইকবাল একসাথে বসে গল্প আর হাসি ঠাট্টা করছিল। সাথে লবন-মরিচ দিয়ে পেয়ারা খাচ্ছিল।

পরে আসরের আজান পড়লে স্বামী ইকবাল নামাজের জন্য মসজিদে চলে যায়। নামাজ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘরে ফিরে দেখে স্ত্রী মাইমুনা ঘরের তীরের সাথে রশিতে ঝুলছে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মাইমুনার মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

আত্মহত্যার বিষয়টি থানাকে অবহিত করা হলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পোষ্টমর্টেম শেষে মাইমুনার লাশ এই প্রতিবেদন লিখা কালিন মিরসরাই থানা হেফাজতে থাকতে দেখা গেছে।

তবে নিহত মাইমুনার বোন রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, শাশুড়ি প্রায় সময় আমার বোনকে বকাঝকা করতেন। এজন্য হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত মাইমুনার স্বামী ইকবাল হোসেন রিপন থানা হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে। থানা হেফাজতে থাকার কারনে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, নিহতের চাচা বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। এছাড়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় একমি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় ওসি।

এবিএনরাজীব সেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ