আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেয়ে খুশি চরাঞ্চলের পরিবারগুলো

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ১৩:৩১ | আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৩:৩২

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেয়ে দারুন খুশি চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গুলো। নতুন ঠিকানা পেয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে অসহায় এসব মানুষ গুলো। নতুন ঠিকানায় স্বাচ্ছন্দে করেছেন বসবাস। শুরু হরেছেন হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল পালন। করছেন সবজি চাষ, লাগিয়েছেন ফুল ও বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অবহেলিত জনপদের নাম ডিক্রীরচর ইউনিয়ন। দফায় দফান পদ্মা নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে পুরো ইউনিয়নের সিংহ ভাগ চলে গেছে নদী গর্ভে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে এই ইউনিয়নের হাজারো পরিবার।

গৃহহীন এসব পরিবারের কথা চিন্তা করে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে ডিক্রীরচর ইউনিয়নের পালডাঙ্গীতে গড়ে তোলা হয়েছে আবাস স্থান। এই আবাস স্থানের নির্মিত প্রত্যেকটি ঘর যেন ভূমি ও গৃহহীন মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা, পরম নির্ভরতার স্থান। নতুন ঠিকানায় উঠেই এসব পরিবার গুলো নতুন নতুন স্বপ্ন দেখছে।
স্বপ্নের ঠিকানায় উঠেই ঘরে আশো-পাশের ফাকা জমিতে শুরু করেছেন সবজি চাষ, ফলের গাছ, ফুলের গাছ। কেই পালছেন হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল ও ভেড়া। স্বপ্নের ঠিকানায় বসবাস করে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখছেন আর প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছেন তারা।

উপকারভোগী তোতা মিয়া বলেন, নদী ভাঙ্গনে কারনে আমরা নি:শ্ব হয়ে গেছিলাম। ভিটা-বাড়ি হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছি। পরের জমিতে থেকেছি। মানুষের বাড়িতে থেকেছি। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টুর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর ও জমি দিয়েছে। আমার পাকা ঘরে ভীষন খুশি হয়েছি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়িতে ফলের গাছ লাগিয়েছি, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল লালন পালন শুরু করেছি।  ঈদ করেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যেন দীর্ঘজীবী হোন।

ডিক্রীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার পেয়ে আমার ইউনিয়নের গৃহহীন পরিবার গুলো ভীষন খুশি হয়েছে। জীবনের শেষ বয়সে এসে গৃহহীন এসব পরিবারের সদস্যরা পাকা ঘরে ঈদ উদযাপন করতে পেরে ভীষন তারা। তারা এখন নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। মনের আনন্দে নতুন ঠিকানায় গাছ-পালা লাগিয়ে, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী লালন-পালন করে নতুন ভাবে জীবন শুরু করেছেন। তবে এখনো আমার ইউনিয়নে অনেক অসহায় ও দুস্থ গৃহহীন পরিবার আছে। এসব গৃহহীন পরিবারকে জমিও ঘর দিয়ে সহযোগিতার
 
জমিসহ ঘর পাওয়া ছবি বেগম বলেন, জীবনের শেষ বয়সে এসে পাকা ঘরে থাকতে পারবো এটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিনা পয়সায় জমিসহ ঘর পেয়েছি। দোয়া কির আমাদেও প্রধানমন্ত্রীর জন্য। আমার মাথায় যত চুল আছে, ততদিন যেন বেঁচে থাকেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।    

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বনন্দিত উপহার গৃহহীনদের জন্য জমিসহ ঘর। সদর উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৬৫ টি ঘরের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে উপকারভোগীরা বসবাস করছেন। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ গুলো বিশেষ ভাবে উপকৃত হয়েছেন এবং তাদের আর্থসামাজিকঅবস্থার পরিবর্তন  হয়েছে। তারা এখন বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছেন। তারা আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। পর্যায় ক্রমে চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।

এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ