আশাশুনিতে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তঃসত্তা জোৎস্না শয্যাশাহী
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২১, ২১:১০
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া গ্রামে অসহায় পরিবারকে বাস্তচ্যুৎ করতে ঘন্টাব্যাপী তান্ডবে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধু জোৎস্নাসহ চার জন আহত হয়েছে। গত শনিবার (১২ জুন) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজহার দাখিল করা হয়েছে।
দীর্ঘকাল নানার বাড়ির জমিতে বসবাস করে আসছে জোৎস্নার স্বামী বিল্লাল হোসেন সহ তার আপন সহোদর ভাইয়েরা। স্থানীয় এটিএম এর পরামর্শে একই গ্রামের মৃত মজিদ সানার ছেলে সাইদ সানা সেখানে জমি দাবি করে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ শান্তি শৃংখলা বজায়ের সর্থে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার কথা বলে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
নির্দেশা মোতাবেক গত ১২ জুন মাপ জরিপ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিল্লাল হোসেন ও তার ভাই আলমগীরকে বেদম মারপিট করলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তাদের চিৎকারে আলমগীরের স্ত্রী সাবিনা (২০) ও অন্তঃসত্তা জোৎস্না (২৫) ঠেকাতে গেলে সাইদ ও হালিম তান্ডব চালিয়ে অন্তঃসত্তা জোৎস্নার তলপেটে লাথি মেরে রক্তাত্ত জখম করে। এবং আলমগীরের স্ত্রী সাবিনাকে বিবস্ত্র করে টানা হেছড়া করতে থাকে। তান্ডব দেখে বাড়ির পুরুষেরা পালিয়ে যায়।
হমলাকারীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে চলে যায়। গ্রামবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় জোৎস্নাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। প্রতিপক্ষের সাইদের সাথে কথা বললে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।
এব্যাপারে আশাশুনি থানার ওসি গোলাম কবিরের সাথে সাংবাদিকদের পক্ষে কথা বলা হলে তিনি বলেন, পাল্টা দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে কোন পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। তদন্ত চলছে অপরাধ প্রমানিত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থ্যা গ্রহন করা হবে বলে ওসি গোলাম কবির জানান।