আজকের শিরোনাম :

এজাহারে গুরুত্ব দিয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২১, ২০:৪৫

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় দায়ের হওয়া নতুন মামলার এজাহারে বাদী যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন, বাদী যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব তথ্যের কতটুকু সত্যতা আছে, কতটুকু নেই তা যাচাই করা হচ্ছে। তবে রিমান্ডে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে কী কী তথ্য পেয়েছেন তা জানাতে অস্বীকার করেছেন তিনি।  

বাবুল আক্তারকে আবারও রিমান্ডে আনা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এ তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এটা এখনও বলা যাচ্ছে না। বাবুল আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন কি না, প্রশ্নের জবাবেও একই কথা বলেন সন্তোষ কুমার চাকমা।

মামলার তদন্তের প্রয়োজনে যেসব তথ্য তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে তা পাচ্ছেন কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বাবুল আক্তারের কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি সেগুলো লিখিতভাবে আদালতে জানানো হবে।

মিতুকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার সঙ্গে ছিল বাবুল আক্তারের ছেলে। ঘটনার সময় ছেলে পাশেই দাঁড়ানো ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিল ছেলে। মামলার তদন্তের প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলা হবে।বাবুল আক্তারের রিমান্ড শেষ হওয়ার পরই ছেলের সঙ্গে কথা বলা হবে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (১১ মে) ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গত বুধবার (১২ মে) দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার শ্বশুর অর্থাৎ মিতুর বাবা। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও সাতজনকে। তারা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ