চিলমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চালে পুষ্টি মিশ্রনে অনিয়মের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৫৯
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রনে পুষ্টি মিশ্রনকারী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে একদিকে যেমন পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী অপরদিকে সরকারীভাবে গৃহিত মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।
জানাগেছে,বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয়ের খাদ্য অধিদপ্তরাধীন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় কু্িরড়গ্রামের চিলমারী উপজেলার ৬ইউনিয়নে মোট ৯হাজার ১১০ জন সুবিধাভোগী ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারে। এ কর্মসূচীর আওতায় বছরে ৫মাস( মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর) ১৭ জন ডিলারের মাধ্যমে এসব চাল বিক্রি করা হয়।
সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতি মাসের চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে মোতাবেক জেলার ফুলবাড়ী উপজেলাধীন মোঃ ওয়াহেদ আলীর মেসার্স জোবেদা অটো রাইস মিলস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এসব চালে পুষ্টি চাল মিশ্রনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী চিলমারী খাদ্য গুদাম থেকে ২৭৩.৩০০ মে.টন চাল ফুলবাড়ীস্থ অটো রাইস মিলসে নিয়ে পুষ্টি চাল মিশ্রনসহ চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পুষ্টি চাল মিশ্রনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভাল মানের চাল নিয়ে নিম্ন মানের চাল প্রদানেরও প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন-সোমবার বিকেলে চিলমারী থেকে চাল ভর্তি ট্রাক ৬০কি.মি দুরত্বের ফুলবাড়ী উপজেলায় নিয়ে পুষ্টি চাল মিশ্রন করে পুনরায় প্যাকেট বন্ধি করে পরদিন সকাল ১০ টার মধ্যে কি করে চিলমারীতে আসতে পারে?
মঙ্গলবার সরেজমিনে জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকার ডিলার লাল মিয়ার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গেলে চুক্তি মোতাবেক চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রন চোখে পড়েনি। এছাড়াও প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের চালের প্যাকেটের সম্মুখ ভাগে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার(লোগোসহ) ভিজিডি কর্মসূচী/খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী/ খাদ্য অধিদপ্তর, পুষ্টিমান( ভিটামিন এ,বি১, বি১২, ফলিক এসিড এবং খনিজ লবন, আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ) এবং প্যাকেটের পশ্চাতে মিলারের নাম, উৎপাদনের তারিখ, নেট ওজন ৩০.৩০০ কেজি, বিক্রয়/ বিনিময়ের জন্য নহে সিল দেয়ার কথা থাকলেও ওই ঘরের ৪৫০ বস্তার কোনটিতে তা না দিয়ে পুরাতন বস্তা দেয়া হয়েছে যাতে আদিতমারী এলএসডি, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার সিল দেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে মেসার্স জোবেদা অটো রাইস মিলসের স্বত্বাধিকারী মোঃ ওয়াহেদ ্আলী পুষ্টি চাল মিশ্রনে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে চুক্তি মোতাবেক পুষ্টি চাল মিশ্রন করা হয়েছে বলে জানান। তার অটো রাইস মিলে ঘন্টায় ৮ মে.টন চাল মিশ্রন করা যায় বলেও তিনি জানান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মোঃ পারভেজ হোসেন জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রনের অনুপাত সঠিক পাওয়া গিয়াছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন,ডিলারদের ঘরে পৌছে দেয়া চাল পরীক্ষা করে সঠিক পুষ্টি মিশ্রন পাওয়া গেছে। বস্তার গায়ের সিল না দিয়ে চাল বিতরণ করা হবে না। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, পুষ্টি মিশ্রন পরীক্ষার জন্য খাদ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ এনে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং লালমনিরহাটের সিল দেয়া বস্তা পরিবর্তনের জন্য বলা হয়েছে।
এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/তোহা
সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতি মাসের চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে মোতাবেক জেলার ফুলবাড়ী উপজেলাধীন মোঃ ওয়াহেদ আলীর মেসার্স জোবেদা অটো রাইস মিলস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এসব চালে পুষ্টি চাল মিশ্রনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী চিলমারী খাদ্য গুদাম থেকে ২৭৩.৩০০ মে.টন চাল ফুলবাড়ীস্থ অটো রাইস মিলসে নিয়ে পুষ্টি চাল মিশ্রনসহ চুক্তিবদ্ধ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পুষ্টি চাল মিশ্রনকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভাল মানের চাল নিয়ে নিম্ন মানের চাল প্রদানেরও প্রশ্ন উঠেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকার ডিলার লাল মিয়ার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গেলে চুক্তি মোতাবেক চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রন চোখে পড়েনি। এছাড়াও প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের চালের প্যাকেটের সম্মুখ ভাগে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার(লোগোসহ) ভিজিডি কর্মসূচী/খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী/ খাদ্য অধিদপ্তর, পুষ্টিমান( ভিটামিন এ,বি১, বি১২, ফলিক এসিড এবং খনিজ লবন, আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ) এবং প্যাকেটের পশ্চাতে মিলারের নাম, উৎপাদনের তারিখ, নেট ওজন ৩০.৩০০ কেজি, বিক্রয়/ বিনিময়ের জন্য নহে সিল দেয়ার কথা থাকলেও ওই ঘরের ৪৫০ বস্তার কোনটিতে তা না দিয়ে পুরাতন বস্তা দেয়া হয়েছে যাতে আদিতমারী এলএসডি, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার সিল দেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে মেসার্স জোবেদা অটো রাইস মিলসের স্বত্বাধিকারী মোঃ ওয়াহেদ ্আলী পুষ্টি চাল মিশ্রনে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে চুক্তি মোতাবেক পুষ্টি চাল মিশ্রন করা হয়েছে বলে জানান। তার অটো রাইস মিলে ঘন্টায় ৮ মে.টন চাল মিশ্রন করা যায় বলেও তিনি জানান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মোঃ পারভেজ হোসেন জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চালের সাথে পুষ্টি চাল মিশ্রনের অনুপাত সঠিক পাওয়া গিয়াছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন,ডিলারদের ঘরে পৌছে দেয়া চাল পরীক্ষা করে সঠিক পুষ্টি মিশ্রন পাওয়া গেছে। বস্তার গায়ের সিল না দিয়ে চাল বিতরণ করা হবে না। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, পুষ্টি মিশ্রন পরীক্ষার জন্য খাদ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ এনে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং লালমনিরহাটের সিল দেয়া বস্তা পরিবর্তনের জন্য বলা হয়েছে।
এবিএন/গোলাম মাহবুব/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ