আজকের শিরোনাম :

ফুলবাড়ীয়ায় এক দিনের শ্রম বিক্রিতেও কেনা সম্ভব হচ্ছেনা তরমুজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৫৪

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। এক দিনের শ্রম বিক্রি করেও কেনা যাচ্ছে না এক তরমুজ। ব্যাবসায়ীগন তাদের ইচ্ছেমতো দাম হাকিয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জনসাধারণ। প্রচার রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা মৌসুমি এ ফলের স্বাদ নিতে অনেকটাই হিমশিম  খাচ্ছেন  । জানাযায়,  রমজানের আগ মুহুর্তে পিছ হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলে ও রমজানের শুরু থেকই বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। রোজার মাসে দিনশেষে ইফতারিতে প্রায় পরিবারেই থাকে তরমুজ সহ হরেক রকমের মৌসুমী ফল দিয়ে কে না চায় ইফতার ছাড়তে ।  তরমুজের দাম এবার আকাশচুম্বী হওয়ায় অনেক রোজাদার সহ নিম্ন আয়ের মানুষ আজও তরমুজের স্বাদ নিতে পারেননি। কিছু দিন আগেও সর্বত্রই তরমুজ পিছ হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেলেও  এখনকার  চিত্রটা ভিন্ন! প্রতিটি দোকানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি করতে দেখাগেছে। উপজেলার কেশরগঞ্জ , শিবগঞ্জ বাজার, বালুঘাট বাজার,  আছিম বাজার সহ বিভিন্ন হাট, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো  কথা কাটা কাটি করছেন ।আবার অনেকে তরমুজ না কিনেই বাড়ী ফিরছেন।

সরেজমিনে কেশরগঞ্জ  বাজারে দেখাযায়  কৃষি খেতে কাজ করে ফাতেমা খাতুন নামের  এক নারী শ্রমিক তার ছেলে কে নিয়ে তরমুজ কিনতে আসছেন। তরমুজ কেজি দরে বেচাকেনা হওয়ায় তিনি ছেলেকে তরমুজ খেতে নিরুৎসাহিত করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন, আর বলছেন, যে টাকা মাইনা ( পারিশ্রমিক)  পাই  এই বছর আর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না।

বাজার গুলোতে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন তরমুজ কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারন কি ? যে তরমুজ বিগত দিনে মানুষ পিছ হিসেবে কিনেছে, সেই তরমুজ এখন  কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে যদি ১০/১৫ টাকা হতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো বলে তারা জানিয়েছেন। এসময় তারা আরও বলেন যারা পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতো অধিক লাভের আশায় তরমুজ সিন্ডিকেট করেছেন  তাদের খুজে বের করে ভোক্তাধিকার আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের  দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতা সাধারণের দাবি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে এই  কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।

এবিএন/হাফিজুল ইসলাম স্বপন/জসিম/জুয়েল

এই বিভাগের আরো সংবাদ