আজকের শিরোনাম :

রাজারহাটে ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ তরমুজ চাষে তিন শিক্ষার্থী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৬:১২

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নতুন জাতের ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ উপজেলায় প্রথবারের মতো  এ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করে চমক লাগিয়েছে তিন শিক্ষার্থী। প্রতিনিয়ত ওই তরমুজ ক্ষেতটি দেখতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন আসছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে তরমুজ ক্ষেতটি দেখতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের পরিবার এসেছিলেন।

সরজমিনে দেখা যায়, রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেকুরটারী গ্রামের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান ও চাকিপশার ইউনিয়নের রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের নুর আলম ও মাহাবুবুল হাসান তিন বন্ধু মিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত হরিশ্বর তালুক মৌজায় মাত্র ৪০ শতাংশ বর্গাকৃত জমিতে মাচায় নতুন জাতের (গোল্ডেন ক্রাউন) তরমুজ চাষ করে।

প্রতিটি মাচা নেট দ্বারা আবৃত। পোকা-মাকড় আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য মাচার মাঝখান দিয়ে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ বসানো হয়েছে। মাচার ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়, শত শত তরমুজ। তরমুজে মাচাগুলো ভরপুর। প্রতিটি গাছে চার থেকে পাচঁটি করে ঝুলে আছে তরমুজ। একেকটি তরমুজ দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়। খেতে সুস্বাদু এ তরমুজের বাইরের অংশ হলুদ রংয়ের হলেও ভেতরে টকটকে লাল। তাদের ওই তরমুজ ক্ষেতের মাচাভর্তি তরমুজ দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছে নানা বয়সের মানুষজন।

তরমুজ চাষী তরুণ উদোক্তা নুর আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনা  ভাইরাসের প্রার্দুভাবে প্রায় এক বছর ধরে কলেজ বন্ধ। তাই ঘরে বসে না থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা তিনবন্ধু মিলে তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হই। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ৪০শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে  নতুন জাতের এ তরমুজ লাগিয়েছি। এ পর্যন্ত আমাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৭০-৭৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি তরমুজ বাজারে বর্তমান দর ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মাত্র দুই সপ্তাহ পর  প্রথমধাপের আসা এ তরমুজগুলো বাজারজাত করা হবে। এভাবে তৃতীয়ধাপ পর্যন্ত তরমুজ ক্ষেতে আসবে তিনধাপে প্রায় দেড় হাজার তরমুজ উৎপন্ন হবে। এর বাজারমুল্য প্রায় দুই লাখ টাকা হবে, আশা করছি।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার শম্পা আকতার বলেন, ওই তিন তরুণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন জাতের তরমুজের সন্ধান পান এবং অনলাইনের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে। চাষাবাদ শুরু থেকে ওই তিন তরুণ উদ্যোক্তাকে প্রযুক্তিগত সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে আসছি। তিন তরুণদের তরমুজ চাষ দেখে অন্য চাষীরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বর্তমান কৃষিতে শিক্ষিত তরুণরা চাষাবাদে এগিয়ে এলে কৃষি সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে।
 

এবিএন/রনজিৎ কুমার রায়/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ