আজকের শিরোনাম :

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে শিশুবান্ধব সময়সূচি নির্ধারণ করায় প্রাথমিকের মন্ত্রণালয় কে অভিনন্দন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ২৩:৪১

গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদহে প্রাথমিকে শ্রেণির কার্যক্রম সকাল ৮ টা হতে ১১:৩০ টা সময়সূচি নির্ধারণ করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানান, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে গ্রীষ্মের এ সময়সূচি বাস্তবধর্মী উদ্যোগে অভিভাবক শিক্ষক ও সচেতন মহলসহ সকলের নিকট প্রশংসনীয় হয়েছে। নেতৃবৃন্দ মনে করেন, সকাল ১১:৩০ টায় রৌদ্রের প্রকোপ তীব্র থাকে। এদিক থেকে বিবেচনা করে ১১:৩০ টার পরিবর্তে ৭:৩০ টায় বিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করে ১১:০০ টার মধ্যে শেষ করা যেতে পারে। সাড়ে সাতটায় শ্রেণির কার্যক্রম চালু হলে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকেও পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। নেতৃবৃন্দ শিশুবান্ধব সময়সূচি পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংখ্যাগরিষ্ট ইসলাম ধর্মের জনগণের সন্তানদের সকালবেলা কায়দা, আমপারা, কোরআন শরীফ শেখার সুযোগ নিশ্চিত করে, বিদ্যালয়ের সময়সূচি দুপুর ২টার মধ্যে সমাপ্ত করার যৌক্তিক সুপারিশ উপস্থাপন করেছে।

এই সময়সূচি শিক্ষার্থীর দুপুরে গরম খাবার খাওয়া, গোসল করা, বিশ্রাম বা ঘুমানোসহ সহ বিকেলবেলা ফুরফুরে মেজাজে খেলাধুলা বা বিনোদনের সুযোগ নিশ্চিত করবে। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিনোদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন সফল হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে সাতটি পিরিয়ডের কার্যক্রম হয়ে থাকে। প্রতিটি পিরিয়ড ৪০ মিনিটের বা কম সময়ের। এ সময়ে শিক্ষকরা ৩ থেকে ৪ টা পিরিয়ড করার পরে শারীরিক মানসিক ক্লান্তি  বোধ করে। এর ফলে শিক্ষকেরা পরবর্তী শ্রেণির কার্যক্রমগুলো যেন-তেন দায়সারা ভাবে সমাপ্ত করে থাকেন।  যার ফলে শিক্ষার্থীরা গৃহ শিক্ষক, কোচিং বা নোট গাইডের সহায়তা নিতে বাধ্য হোন। এর ফলে শিখন ঘাটতি দূর করা সম্ভব হয় না। শিখন ঘাটতিরোধকল্পে বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীর শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে প্রতিটি পিরিয়ডের সময়সূচি ১ ঘন্টা করার সুপারিশ করা হলো।

শিক্ষার্থী শিক্ষকের শারীরিক মানসিক সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা দৈনিক চার পিরিয়ডের বেশি নির্ধারন করা কাম্য নয়। শিশুবান্ধব সময়সূচির মাধ্যমে নিশ্চিত হোক শিশুর অধিকারসহ দূর হোক শিখন ঘাটতি।

বিবৃতি দাতাগণ হলেন : সর্ব জনাব ইন্দু ভূষণ দেব, উপদেষ্টা ও সাবেক বিভাগীয় উপপরিচালক, ঢাকা বিভাগ, মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, সিনিয়র সহসভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মতিউর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আমান উল্ল্যা, সিনিয়র সহসভাপতি, সামসুদ্দিন বাবুল, সিনিয়র সহসভাপতি,  আসমা বেগম, সহসভাপতি, এম.এ. ছিদ্দিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আবদুল হালিম সরকার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, মোঃ মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক, আলমগীর হোসেন হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক, শাহনেওয়াজ সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক, মোঃ আঃ কাদের, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।  

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/আঃ কাদের

এই বিভাগের আরো সংবাদ