গ্রিন ইউনিভার্সিটি : উন্নত ও স্বপ্নীল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ইইই পড়ে

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যে কয়েকটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও সমৃদ্ধ ধরা হয়, এর প্রথম সারিতে রয়েছে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং তথা ইইই। বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আর এ কারণেই বাড়ছে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব। এটা বলা হয়েই থাকে যে, তড়িৎ প্রকৌশল, প্রকৌশলবিদ্যার অন্যান্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে, শুধু তাই নয় এর কর্মপরিধির বেশি। দেশে নয়তো বিদেশেÑ নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরীক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে এই ইইই। 

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইইই তথা তড়িৎ প্রকৌশলকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ভিত্তি বলা যায়। ইইই পড়লে শুধু সার্কিট সম্পর্কে জানতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। বরং এর জ্ঞান অসীম এবং অনেক কিছু জেনেই এই বিষয় পড়তে হবে। আধুনিক সভ্যতার বিকাশ ও উন্নতিতে তড়িৎ প্রকৌশলের ভূমিকা অনেক।

নানামুখী এসব বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই গ্রিন ইউনিভার্সিটির ট্রিপল-ই বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই পড়ার সুযোগ বিদ্যমান; এর মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অন্যতম। রাজনীতিমুক্ত পরিবেশে শিক্ষা, গবেষণা, অধ্যয়ন এবং জ্ঞানার্জনের জন্য ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করেছে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দেশে ছাড়াও ক্রেডিট ট্রান্সফার করে বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।

বলা হচ্ছে, পাওয়ার সেক্টরে চাহিদা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি। বর্তমান সরকারও বেশ কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করছে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। সুতরাং বলাই যায়Ñ বর্তমান সময়ে এই বিভাগের চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান সময়ের বিদুৎ শক্তির উপর সবকিছু নির্ভরশীল। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক মোটর, রাডার এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অটোমোবাইল, জাহাজ ও বিমানের বৈদ্যুতিক সিস্টেম প্রভৃতি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকেন। পাওয়ার প্ল্যান্ট, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক মোটর, অটোমোবাইলসহ সব ধরনের ইঞ্জিনও এটার ওপর নির্ভরশীল। সে হিসেবেও বলা যায়, বর্তমানে ইইই বিভাগের চাহিদা অনেক বেশি।

বুয়েট এবং বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা কিছু শিক্ষক পাঠদান করছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে। বেশ কয়েকজন অধ্যাপকসহ শিক্ষক হিসেবে রয়েছে অর্ধশতাধিক অভিজ্ঞ ও তরুণ মেধাবী শিক্ষক। বিভাগটিতে চেয়ারপার্সন হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ড. এএসএম শিহাবুদ্দিন; যার দেশীয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও ইউল্যাব ছাড়াও ইউরোপের একাধিক বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখানে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের তত্ত্বাবধানে যেমন কোর্স কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে, তেমনি যুগের সাথে সমন্বয় রেখে তাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হচ্ছে নিয়মিত। আছে মাল্টিমিডিয়া ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম; উন্নত যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিট, মেশিন ও পাওয়ার এবং কন্ট্রোল সিস্টেম ল্যাব; পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সজ্জিত এনালগ ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ল্যাব, মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব, মাইক্রোকন্ট্রোলার ল্যাব, কমিউনিকেশান ল্যাব, মাইক্রোওয়েভ ল্যাব, টেলিকমিউনিকেশান ল্যাব, অপটিক্যাল কমিউনিকেশান ল্যাব; সফ্টওয়্যার শিক্ষার নিমিত্তে সর্বশেষ মডেল/কনফিগারেসন সমৃদ্ধ কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা, যা প্রত্যেক ছাত্রের জন্য উম্মুক্ত। 

সার্বিক বিষয়ে ড. এএসএম শিহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমানে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগ যেকোনো সময়ের চেয়ে সমৃদ্ধ। এখানে যেমন আধুনিক সিলেবাসের সঙ্গে উন্নত ল্যাবের সমন্বয়ে পাঠদান চলছে, তেমনি রয়েছে কিছু অভিজ্ঞ ও তরুণ মেধাবী শিক্ষকদের সমন্বয়। সবমিলিয়ে বলা হয়, সবচেয়ে কম খরচে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’ নিশ্চিত করছে আমাদের ইইই বিভাগ।

আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সেজন্যও সুযোগ সুযোগ-সুবিধা রেখেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উপজাতি, ছাত্রী, আপন ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী কোটায় আংশিক এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিশেষ ছাড়ে লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে। 

যোগাযোগ : গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, পূর্বাচল আমেরিকান 
সিটি, কাঞ্চন, রূপগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ। ফোন: ০১৩২৪৭১৩৫০২, ০১৩২৪৭১৩৫০৩, ০১৩২৪৭১৩৫০৪, ০১৩২৪৭১৩৫০৫, ০১৩২৪৭১৩৫০৮; ওয়েব: www.green.edu.bd

এবিএন/জসিম/গালিব