বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে সমালোচনা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৯:২৪
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র বিস্তারিত আলোচনা করতে বলায় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের প্রশ্নপত্রে এমন কথা উল্লেখ করায় শুক্রবার তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার এই পরীক্ষা হয়। তবে প্রশ্নপত্র তৈরিকারী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, যারা হেজিমনি কি তা যারা জানে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। বর্তমানে প্রশ্ন নিয়ে সমালোচনার বিষয়টিও হেজিমনি।
হেজিমনির বিষয়ে চার্লস হজেস বলেছেন, ‘কোনো জাতির অভ্যন্তরীণ জীবনযাত্রার মধ্যে বিদেশি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সাংস্কৃতিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষভাবেই হোক বা পরোক্ষভাবেই হোক, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা লাভকেই সাম্রাজ্যবাদ বলে।’
একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।
ববি শিক্ষার্থী ইমদাদুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শয়তান দেহ পাবি মন পাবি না’, ইহা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্মের প্রশ্নপত্র!
শিক্ষার্থী আবুবকর সিদ্দিক লিখেছেন, উইকিপিডিয়া পড়া শিক্ষক আর তাতে অভ্যস্তরা সৃজনশীলতা বুঝবে না। এর কূপমণ্ডুকতার চর্চা করেই যাবে। সবকিছু নিয়ে ট্রোল করবে। বেকার আগডুম বাগডুম লোক এরা।
এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি নৈতিকতা শিক্ষায় অবদান না রেখে অশ্লীলতা ছড়ায় এমন অপ্রীতিকর ভাবধারার প্রশ্ন করেন সেটা একটা জাতিকে নষ্ট ও পথভ্রষ্ট করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, হেজিমনি বুঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেওয়াটা সঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় বুঝায়। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেতো। তাছাড়া প্রশ্নপত্রে বাংলাভাষা ইংরেজী শব্দে উল্লেখ করা কতটা যৌক্তিক সেটিও বিবেচনার বিষয়।
সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, এই প্রশ্নে আমি কোন সমস্যা দেখছি না। এখানে নেগেটিভ কিছু নেই। এটি কোড আনকোড। যাদেরকে পড়িয়েছি আমি সেখানে টেক্সট ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। প্রসঙ্গ না বুঝে অনেকেই যার যার অবস্থান থেকে সমালোচনা করছেন। প্রশ্নের বিষয়ভিত্তিক আলোকপাত করেছি। বিট্রিশ রাজরা কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে হেজিমনিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ। বর্তমানে প্রত্যেক জায়গায় হেজিমনি রয়েছে।
এবিএন/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ