আজকের শিরোনাম :

শাবিতে জাফর ইকবাল, অনশন ভাঙার আশ্বাস শিক্ষার্থীদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৩৯

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনুরোধে অনশন ভাঙতে রাজি হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জাফর ইকবাল অনশনস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা অনশন ভাঙার আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিন ভোর চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল অনশনস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন। তার কথায় শিক্ষার্থীরা সকালে অনশন ভাঙবেন বলে আশ্বাস দেন। এসময় পাশে ছিলেন জাফর ইকবালের স্ত্রী সাবেক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।

ড. জাফর ইকবাল দুই ঘণ্টার বেশি সময় অশনরত শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন। এসময় পুলিশের হামলার বর্ণনা দেন শিক্ষার্থীরা। এ ধরনের হামলার ঘটনাকে খুবই নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন জাফর ইকবাল। তিনি শিক্ষার্থীদের মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেন। অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন। বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবন একজন ব্যক্তির চেয়ে বেশি মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দিবা এটা মানা যায় না। সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা হয়ে গেছে, আদালতে তোলা হবে। তারা কথা দিয়েছেন ছাত্রদের জামিন দেয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জাফর ইকবাল বলেন, এখানে শিক্ষার্থীরা সবাই শীতে কষ্ট করছে। তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু তাদের জন্য কোনো মেডিকেল টিম নেই। যারা তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতো তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা দেন তিনি। বলেন, ১০ হাজার টাকা দিলাম। এ টাকা দিয়ে তোমাদের তেমন কিছু হবে না জানি। কিন্তু আমি দেখতে চাই সিআইডি আমাকে অ্যারেস্ট করে কি না।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এসময় লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হন।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, তোমাদেরকে সাহায্য করতে যদি অ্যারেস্ট হতে হয় তাহলে আমি হব। আমি তোমাদেরকে ১০ হাজার টাকা দিলাম। এ টাকা দিয়ে তোমাদের তেমন কিছু হবে না জানি। কিন্তু আমি দেখতে চাই সিআইডি আমাকে অ্যারেস্ট করে কিনা।

এর আগে ভোর চারটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সস্ত্রীক উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল তিনটা থেকে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে অনশনকারী এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য অসুস্থ হওয়ায় অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি। পরে গত রোববার সেখানে নতুন করে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন।

উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে অনশন ভাঙলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ