অবশেষে জেলায় জেলায় স্বস্তির বৃষ্টি, বজ্রাঘাতে নিহত ৫

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১২:৫৩

অবশেষে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার রাতেও কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন ফেনীবাসী। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩-৪ মিনিট। ফেনী আবহাওয়া অফিস জানায়, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া বৃষ্টি ৩-৪ মিনিট স্থায়ী ছিল। এ সময় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের বড়াদম এলাকায় এবং রাঙামাটি শহরের সিলেটি পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রাঘাতের সময় বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান (৫৫) ঘরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। একই সময় বজ্রাঘাতে রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির সিলেটি পাড়ায় মো. নজির (৫০) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি ঘরের পাশে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিলেন।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫)।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রাজাখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাতে প্রচুর বজ্রাঘাত হয়। ভোরেও বজ্রাঘাত অব্যাহত থাকে। রাতের বৃষ্টিতে লবণমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষী আরমান তা পরিচর্চা করতর যায়। ওই সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার (১ মে) দিবাগত রাত ২টার রংপুর জেলার বদরগঞ্জ, পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে বৃষ্টি ঝরেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বুধবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে, তবে কত মিলিমিটার তা পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুরের আকাশে সূর্য উঠলেও আবহাওয়া শীতল রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, রংপুর অঞ্চলে বৃহস্পতিবার দিনে বা রাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়ার খবর বলা হয়েছে- চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা সমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ