শ্রম আইনটি শ্রমিকবান্ধব করা হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, শ্রম আইনটি শ্রমিকবান্ধব করা হবে। এতে আইএলও কিছু সংযোজন করেছে। তাদের অনুরোধেই আইনটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমাদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। আশা করছি, সংসদের আগামী অধিবেশনে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনেই এটি পাস হয়ে যাবে।

মে দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শ্রম আইন কতটুকু মানা হচ্ছে, প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ঈদের আগে আমরা একটি সভা করেছিলাম। মালিক, শ্রমিক ও সরকার মিলে। সেখানে সমস্যা চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বছরই প্রথম শ্রম খাতে ঈদের আগে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে। এর আগে সড়ক অবরোধ করা হতো, বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা হতো। আগে শ্রমিক-মালিক বৈরী সম্পর্ক ছিল। এবার আমরা আলোচনা করে সেটা সমাধান করেছি। ছুটির আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে পাওনা প্রণোদনা মালিকপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে যথাযথ সময়ে শ্রমিকদের পাওনা দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এবার আনন্দঘন পরিবেশে শ্রমিকরা ঈদ উদযাপন করেছে।

তিনি বলেন, আইন না মানলে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে। সেটা বাস্তবায়ন করতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শকরা আছেন। তারা পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কাজেই শ্রম আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয় না, এমনটা বলা যাবে না। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, গেল দুই মাসে আমার মন্ত্রণালয়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছভাবে এই পরিচালনা করা হয়েছে।

বিভিন্ন কলকারখানায় শিশুশ্রম নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কলকারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই। তবে যেগুলো আছে সেগুলো অনানুষ্ঠানিক খাত। একটা বাসায় কাজের ছেলে কিংবা কাজের মেয়ে রাখা বা গ্যারেজে কোনো গরিব ঘরের সন্তানকে কাজ শেখানোর জন্য কাজে লাগানো হয়। এসব খাতে আমরা হস্তক্ষেপ করলেও বন্ধ করা সম্ভব হয় না।

শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টা নিয়ে এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে বেশির ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে। তারা যখন বিদেশি অর্ডার বাস্তবায়ন কিংবা রপ্তানি তাড়াতাড়ি করাতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করান। এজন্য তাদের পাওনা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয় এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এটা পারস্পরিক বিষয়, সমঝোতার ভিত্তিতে করা হয়। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে এগুলো হয়। যেমন দোকানে আট ঘণ্টার বেশি শ্রম দিতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিরসনে আমরা কাজ করছি।

ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে বিধান অনেক শিথিল করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন আমরা দিচ্ছি। সেক্ষেত্রে তাদের বাধাগুলো শিথিল করে তারা যাতে সহজে ট্রেড ইউনিয়ন পেতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ