শিব নারায়ণ দাসের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের মরদেহের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের জনগণ।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় দেশের বরেণ্য শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, অভিনয়শিল্পীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারও শিব নারায়ণ দাসের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানানোর সময় শিব নারায়ণ দাসের ছেলে অর্ণব আদিত্য দাস সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা এই দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। সেটা আপনারা সবাই কমবেশি জানেন। কিন্তু তিনি কখনো তার এসব কর্মের কথা কাউকে নিজে থেকে বলেননি। তিনি কখনো কাউকে বলেননি, আমি দেশের জন্যে এটা করেছি সেটা করেছি। তাকে বিশেষ কোন স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। তিনি ছিলেন প্রকৃত একজন দেশপ্রেমিক, একজন ভালো মানুষ।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সমন্বয়ে আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানো শেষে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার লাশ কুমিল্লার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

শিব নারায়ণের তৈরি করা বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত পতাকা ধরেই হয়েছিল স্বাধীনতার সংগ্রাম। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। 

লাল-সবুজের ভেতরে হলুদ রঙে বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত ওই পতাকার নকশা যারা করেছিলেন, তাদের একজন সে সময়ের ছাত্রলীগ নেতা শিব নারায়ণ দাশ। 

১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৮ নম্বর কক্ষে বসে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী ওই পতাকার নকশা তৈরি করেছিলেন ‘জয়বাংলা বাহিনীর’ জন্য। 

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সরকার শিল্পী কামরুল হাসানকে পতাকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে বলে। কামরুল হাসান মানচিত্র সম্বলিত ওই লাল-সবুজ পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দিয়ে যে পতাকার নকশা করেন সেটিই এখন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ