আজকের শিরোনাম :

ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি করে চাল পাবেন ১ কোটি ভিজিএফ কার্ডধারী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১৩:০৮

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫১৫ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ১ কোটি ৫১ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারী ব্যক্তি ১০ কেজি করে এসব চাল পাবেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ বরাদ্দ দিয়ে সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৯টি এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫১টিসহ সর্বমোট ১ কোটি ৫১ হাজার ৫০০টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি হারে ১ লাখ ৫১৫ টন ভিজিএফ চাল শর্তাবলি অনুসরণ করে বিভাজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলো।

বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফ চাল আগামী ২০ জুনের মধ্যে উত্তোলনসহ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে বলেও চিঠিতে বলা হয়।

বরাদ্দের শর্তে বলা হয়, এসব ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ শর্তাবলি অনুসরণ করতে হবে—
>> বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬ এর তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনর্বিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। িি.িননং.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে লগইন করে জনসংখ্যার তথ্য পাওয়া যাবে।

>> দুস্থ/অতি দরিদ্র ব্যক্তি/পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ/অতি দরিদ্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

>> নিচের শর্তাবলির মধ্যে কমপক্ষে চারটি শর্ত পূরণ করে এমন ব্যক্তি/পরিবার, দুস্থ/অতি দরিদ্র বলে গণ্য হবে-

১. যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই।
২. যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
৩. যে পরিবার মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল।
৪. যে পরিবারের উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই।
৫. যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়।
৬. যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই।
৭. যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলা।
৮. যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা।
৯. যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী।
১০. যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রাপ্ত হয়নি।
১১. যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য-অর্থ সংকটে পড়েছে।
১২. যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দুবেলা খাবার পায় না।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ