আজকের শিরোনাম :

বনানীতে বহুতল ভবন নির্মাণ নিয়ে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৩, ১৬:৩৭

রাজধানীর বনানীতে বোরাক রিয়েল এস্টেটের ২৮তলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (৪ জুন) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দেন তিনি।

অভিযোগ নিয়ে দুদকে আসার বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে চুক্তি সম্পাদন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জমিতে অসম একটি চুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয় ‘বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্স’। চুক্তি অনুসারে ভবনের ৩০ শতাংশ পাবে সিটি করপোরেশন, ৭০ শতাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, অসম চুক্তিটি নিয়ে সমালোচনা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থা। তবে এ চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ শেষ হলেও সিটি করপোরেশন তার ৩০ শতাংশ এখনো বুঝে পায়নি। অন্যদিকে চুক্তি অমান্য করে ১৪তলার জায়গায় ২৮তলা নির্মাণ করে বোরাক রিয়েল এস্টেট।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোটি কোটি টাকা আয় করে নেয়। কিন্তু সিটি করপোরেশনকে তাদের ন্যায্যা হিস্যা বুঝিয়ে দেয়নি। এতে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ক্ষতি হয়েছে। এখানে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, যা দুদক অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে।

২০০৬ সালের মে মাস বোরাক রিয়েল এস্টেট ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম চুক্তি হয়েছিল। ১৩তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০০৭ সালের জুলাইয়ে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভবন নির্মাণকাজ শেষ করে করপোরেশনকে তাদের প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।

চুক্তির ৮ মাসের মাথায় সেখানে ৩০তলা ফাউন্ডেশন রেখে ১৪তলা ভবন এবং একটির পরিবর্তে তিনটি বেজমেন্ট তৈরির আবেদন করে বোরাক। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের জুনে সিটি করপোরেশন সংশোধিত চুক্তি করে। এরপর ১৩তলার পরিবর্তে ১৪তলা ভবন নির্মাণে সংশোধিত চুক্তি হয়। এর ২৭ দিনের মাথায় আবার ১৪তলার ওপর আরও ১৬তলা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে বোরাক। কিন্তু অনুমোদনের অপেক্ষা না করে নির্মাণকাজও চালিয়ে যায় তারা।
 

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ