আজকের শিরোনাম :

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চিকিৎসকদের ভূমিকা পালনের আহ্বান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ১৭:০৮

এক কর্মশালায় আলোচনাকালে বক্তারা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চিকিৎসকদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। 

সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তামাকবিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও দেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে। ‘তামাক ত্যাগের চ্যালেঞ্জ এবং সামনের পথের বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে স্বাস্থ্য খাতের পেশাদারদের সঙ্গে এক পরামর্শ কর্মশালার বক্তৃতাকালে তারা এ আহ্বান জানান।

তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য বিরাট ঝঁুিক সৃষ্টি করে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চিকিৎসকরা দেশে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে তারা মনে করেন। 

চিকিৎসকদের সমাজে অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং লোকজন তাদেরকে সম্মানের চোখে দেখে। তাই তারা তামাকবিরোধী প্রচারে তাদের অবস্থানকে কাজে লাগাতে পারে। তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করে, চিকিৎসকরা তামাকজাত দ্রব্যের এই জাতীয় নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তুলে ধরে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। 

চিকিৎসকদের সমাজের প্রতি তাদের কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তারা বলেন, চিকিৎসকদের উচিত নিয়মিভাবে রোগী দেখার পাশাপাশি রোগী ও তাদের পবিরারের সদস্যদের উক্ত বিষয়ে কাউন্সেলিং করা। 

তামাক রোধের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সামনের পথ নিয়ে স্বাস্থ্যখাতের পেশাদারদের সাথে এক কর্মশালার বক্তৃতাকালে তারা এ মন্তব্য করেন। 

সম্প্রতি রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে বিয়াম ফাউন্ডেশনের মেঘনা হলে এই কর্মশালার   আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্লাইন্ড মিশন (বিবিএম)। সংস্থাটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে ১৯৯২ সাল থেকে কাজ করে আসছে। 

২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে তামাকবিরোধী অভিযানে চিকিৎসকদের সম্পৃক্ত করার অংশ হিসেবে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

তামাকমুক্ত বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে চিকিৎসক সমাজের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বড় বাধা হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যার কারণে আমাদের জাতীয় অগ্রগতি অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাই আমাদের সকলকে তামাকের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর এএইচএম মুস্তাফিজুর রহমান, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিবিএমের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) খন্দকার মোহাম্মাদ মোজাম্মেল হক। 

স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএমের সভাপতি জুয়েল আহম্মেদ, কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন বিবিএমের উম্মে কাউছার সুমনা ও ফারিয়া সুলতানা। 

ইস্পাহানি চক্ষু হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম তামাক ত্যাগের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সামনের পথ সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

কর্মশালায় ঢাকার প্রায় ২১ জন চিকিৎসক অংশ নেন।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ