আজকের শিরোনাম :

মহালয়ার ভোরে ‘স্তোত্র’ পাঠের মাধ্যমে শুরু হলো দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৮

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই পূজার জন্য সারা বছর উদগ্রীব হয়ে থাকেন তারা। দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পর্ব বা মহালয়ার প্রথম প্রহরে শেষ হয় পিতৃপক্ষের, আর শুরু হয় দেবীপক্ষের। একই সঙ্গে শুরু দুর্গাপূজার মূল অংশের প্রস্তুতি পর্ব। 

আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কালী মন্দিরে মহলায়ার ভোরে দেবীর ‘স্তোত্র’ বা মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবারের দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পর্ব। এই পর্বে দেবীর বন্দনা আর শুভবোধ উদয়ের জন্য প্রার্থনা করা করা হয়।

মহালয়ার 'স্তোত্র' পাঠে অংশ নেন দেবীর ভক্ত ও অনুরাগীরা। নানান বয়সের ভক্তরা আসেন দেবী বন্দনায় অংশ নিতে। সুখ, শান্তি আর সম্মৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা জানাতে।

‘মহালয়া’ কথাটি এসেছে মহালয় থেকে। মহালয়ের অর্থ পরমাত্মা। বৃহৎ আলয়। সৌর আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের নাম মহালয়। ব্যাকরণগত দিক— মহান আলয় যাহাতে তাহা— বহুব্রীহি সমাস। মহালয় + আপ- স্ত্রীলিঙ্গে মহালয়া। অন্যদিকে— মহালয়া যেহেতু একটি তিথি- এই তিথি শব্দটি সংস্কৃতে স্ত্রীলিঙ্গ বলেই বিশেষণ হিসেব শব্দটি হয়েছে মহালয়া। মহালয়া হলো শারদীয়া দুর্গাপুজার আগে অমাবস্যা- অর্থাৎ আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অমাবস্যা।

দুর্গোৎসবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এক— মহালয়া, দুই — বোধন, তিন — সন্ধিপুজা। মহালয়া তিথিটিকে বলা হয়েছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতিপর্ব। হিন্দুধর্ম যে কোনও শুভ কাজে যেমন বিয়ে, উপনয়ন ইত্যাদি কাজের আগে নান্দীমুখ শ্রাদ্ধ করতে হয়, তেমন মাতৃ আরাধনার আগে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তিলজল নিবেদন করতে হয়। এর মূলে রয়েছে বিশ্বাস— কেউ মারা গেলেও তার আত্মার মৃত্যু হয় না। আত্মার বিনাশ বা ক্ষয় নেই। পিতৃপুরুষের আত্মার তৃপ্তি সাধনের জন্য মহালয়ার তর্পণ-শ্রাদ্ধ। তর্পণ-শ্রাদ্ধ শেষ করেই দেবীপক্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়া। মহালয়া হলো পিতৃপক্ষের শেষ ও দেবীপক্ষের শুরুর সন্ধিক্ষণ। বলা যায় মহালয়া দেবীপক্ষের শুরু।

প্রচলিত বিশ্বাস, কৈলাস থেকে দেবী দুর্গা মহালয়ার ক্ষণ থেকে বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কাজেই মহালয়া তিথিটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ