আজকের শিরোনাম :

এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়েছে ১৪.১৯ শতাংশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২২, ১৩:৪৫

ফাইল ছবি
চলতি বছরের এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর মে মাসে দেশে ৫২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় সেই মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪১ জনে। এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিল ১৮ জন। কিন্তু মে মাসে সেটি দাঁড়িয়েছে ২০.৬৭ জনে। এই হিসেবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে সড়কে মৃত্যু বেড়েছে ১৪.১৯ শতাংশ।

আজ সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মে মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মে মাসের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৪ জন। নিহতের মধ্যে ৮৪ জন নারী ও ৯৭ জন শিশু। মে মাসে ২৪৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪৩.৫২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৬.৭৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৮.৫৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯১ জন।  

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বলছে, দুর্ঘটনায় ১৮-৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৪৮৯ জন, অর্থাৎ ৭৬.২৮ শতাংশ। ট্রাকসহ পণ্যবাহী দ্রুতগতির যানবাহন ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ চালকদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। 

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আমাদের ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। গণপরিবহন সহজ, সাশ্রয়ী ও উন্নত করে, যানজট কমিয়ে মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করা অতীব জরুরি। কিন্তু এটা না করে মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’ 

এসব দুর্ঘটনায় মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৭টি দুর্ঘটনায় এই বিভাগে ১৫৯ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই বিভাগে ২২টি দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত হয়েছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩২টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম মৃত্যু ঝালকাঠি জেলায়। ৩টি দুর্ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে। এই জেলায় গত মাসে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানীতে ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছে। তাছাড়া, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে দুর্ঘটনায়। 

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে আরও বলা বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৭টি (৪১.০৯ %) জাতীয় মহাসড়কে, ১৯১টি (৩৬.১৭ %) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৪টি (১৪ %) গ্রামীণ সড়কে এবং ৪৬টি (৮.৭১ %) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২৯ শতাংশ। সব মিলে দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৯১৪ টি। সকালের দিকে সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ