আজকের শিরোনাম :

‘প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২২, ১৩:০৬

পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, সারাদেশে কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস অথবা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এখন আর সম্ভাবনাও নেই। কারণ পরীক্ষা শুরুর ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঝুঁকি থাকে। আর আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগও নেই।

পরীক্ষা চলাকালে শুক্রবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগও নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিসিএস এমসিকিউ পরীক্ষার ছয় সেট প্রশ্ন করেছি। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় লটারির মাধ্যমে সেট পছন্দ করে প্রিন্ট দিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সেট পছন্দ করার ক্ষেত্রে সব সময় আমরা দুজন সম্মানিত ব্যক্তির উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন করে থাকি। এ বছর অধ্যাপক ড. শওকত আলী স্যার এবং যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিএসসির নিয়োগ কার্যক্রমে কোনো ভাটা পড়েছে কি না- এমন প্রশ্নে সোহরাব হোসাইন বলেন, কোভিড চলাকালীন সময়ে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছি। পিএসসির অধিকাংশ সদস্যই ষাটোর্ধ্ব বয়সী। কোভিডে মহামারিতে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও ৪২তম বিসিএসে চিকিৎসক নিয়োগ নিয়ে কাজ করেছি। আট হাজার নার্স নিয়োগের কাজ করেছি এবং ৪১৯ জন সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পিএসসির সব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেশের সব বিভাগে একযোগে শুরু হয় শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টায়। ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এ এমসিকিউ পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এদিন পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করেন।

৪৪তম বিসিএসে সারাদেশে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন। এ বছর বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেবে সরকার। সে হিসাবে ৪৪তম বিসিএসে আসনপ্রতি লড়ছেন ২০৫ জন পরীক্ষার্থী।

পিএসসি জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তার মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ