আজকের শিরোনাম :

আবারও বাড়ছে বিধিনিষেধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২১, ১৪:৫৭

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহের জন্য বাড়ছে। ঈদ পরবর্তী মানুষের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ চলমান বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে। আগামীকাল (রবিবার) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে  সরকার।

আজ (শনিবার) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এখন যেমনভাবে বিধিনিষেধ চলছে, তেমন করে আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রবিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

জানা গেছে, এবারের বিধিনিষেধে মাস্ক পরাসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ দিতে পারে। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে। তবে সবকিছুই আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ১৬ মে’র পর থেকে আরেক দফা বিধিনিষেধ বাড়ছে। এসময় মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে।

জনপ্রশাস মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। শহর ও জেলার ভেতরে ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েও তেমন লাভ হয়নি। এতকিছুর মধ্যেও ঈদুল ফিতরে মানুষ গ্রামের বাড়ি গেছেন। ঈদের পর একইভাবে ফিরে আসলে সংক্রমণ বাড়তে পারে।  

জানা গেছে, ঈদে যেসব মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে গেছে, তারা কীভাবে ফিরবে, বিধিনিষেধে কী কী থাকবে, সেই বিষয়গুলো আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হতে পারে। শর্ত সাপেক্ষ সীমিত সময়ের জন্য গণপরিবহন চলবে কিনা, নাকি আগের মতই বন্ধ থাকবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে বিধিনিষেধ বাড়ানো হলেও দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুর জন্য মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। তারা দাবি আদায়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করছেন। বর্তমান বিধিনিষেধ তথা বিধিনিষেধে একই জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারছে। তবে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন বন্ধ আছে। এছাড়া যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও আগের মতো বন্ধ আছে। তবে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা আছে ব্যাংকও। এছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা রাখা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের চলমান বিধিনিষেধ রবিবার শেষ হচ্ছে। চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরো দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ