আজকের শিরোনাম :

প্রাথমিকে নিয়োগ: দ্বিতীয় ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২২, ২১:৩৭

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা তিন ধাপে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২২ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে আটটি জেলার সব উপজেলা ও ২২টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্বিতীয় ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এর তথ্য জানান।

প্রথম ধাপে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর তৃতীয় ধাপে ৩ জুন পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা

দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে।

নওঁগা জেলার সদর, নিয়ামতপুর, পতœীতলা, রানীনগর, পোরশা, সাপাহার উপজেলা; নাটের জেলার বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, গুরুদাশপুর, লালপুর; সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, সদর ও তাড়াশ উপজেলা; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও মিরপুর; ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ড, সদর, কালিগঞ্জ; যশোর জেলার অভয়নগর, চৌগাছা, সদর, বাঘারপাড়া; সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া, কালিগঞ্জ; বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট, মোংলা, মোড়লগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা; জামালপুর জেলার সদর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দাহ; ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা, সদর, নান্দাইল, ফুলপুর, তারাকান্দা, ত্রিশাল উপজেলা; নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি, মদন, মোহনগঞ্জ, সদর, পূর্বধলা উপজেলা; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, কুলিয়ারচর, মিঠামইন, নিকলী, পাকুন্দিয়া, তাড়াইল; টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি, মধুপুর, মির্জাপুর, নাগরপুর, সফিপুর, বাসাইল উপজেলা; রাজবাড়ি জেলার কালুখালি, গোয়ালন্দ; কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, লালমাই, সদর দক্ষিণ, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাগলকোট, তিতাস উপজেলা; নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানিগঞ্জ, হাতিয়া উপজেলা; পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর, নেছারাবাদ, সদর; পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, সদর, রাঙ্গাবালি, দুমকি উপজেলা; সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, সদর, তাহিরপুর উপজেলা; হবিগঞ্জ জেলার সদর, লাখাই, মাধবপুর, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা; কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, রাজারহাট, রাজিবপুর, রৌমারী, উলিপুর উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষা হবে।

প্রথম ধাপে যেসব জেলায় পরীক্ষা
২২ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও লালমনিরহাট জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে।

আর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজীপুর; যশোর জেলার ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা; ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ; নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি; টাঙ্গাইল জেলার সদর, ভূঞাপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ি, ঘাটাইল, গোপালপুর; কুমিল্লা জেলার বরুয়া, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, সদর, মেঘনা, দাউদকান্দি; নোয়াখালী জেলার কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমড়ি ও সুবর্ণচর উপজেলায় পরীক্ষা হবে।

গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক-প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০টি এবং প্রাথমিকে ৬ হাজার ৯৪৭টি শূন্য পদের কথা উল্লেখ রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

ইতোমধ্যে অবসর নেয়ার কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। এই গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন হবে ১১ হাজার থেকে ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা।

নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীদের বয়স বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরুর তারিখ অর্থাৎ চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যাদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ