আজকের শিরোনাম :

সুপার সাইক্লোন আম্পান: মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ২১:৪১

সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ থেকে রক্ষায় সাতক্ষীরা জেলার লোকজনকে ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে অন্য জেলার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শুরু হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১২ হাজার ৭৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

উপকূলীয়সহ মোট ১৯টি জেলা- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লাখ নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ লাখ টাকা, গো খাদ্য জন্য ২৮ লাখ টাকা এবং শুকনো ও অন্যান্য খাবারের ৪২ হাজার প্যাকেট ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে যেন খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘বিধ্বংসী’ শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাচ্ছে ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এটি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মাঝামাঝি কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা নাগাদ।

বর্তমানে ঝড়টির যে অভিমুখ রয়েছে তা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে সীমান্তের ওপারে আসাম পর্যন্ত নির্দেশ করছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে এটি তাণ্ডব না চালালেও বজ্রসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর ক্ষয়ক্ষতিরও একটি সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণ করেছে। এতে ঘরবাড়ি, রেল যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, গাছপালা, পশুপাশি এবং শস্যের ক্ষতি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে উড়িশার ৭শ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এলেও রাজ্যটিতে এবার তেমন ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে না। বরং পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই ভাবছে দেশটি।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং উপকূলীয় জেলা সমূহ ও এর অন্তর্ভুক্ত দ্বীপসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ