আজকের শিরোনাম :

নবীন চিকিৎসকদের প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী

‘করোনার কারণে নিয়োগ, সেবা দিতে পিছপা হবেন না’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২০, ১৭:৫২ | আপডেট : ১৩ মে ২০২০, ১৭:৫৬

চিকিৎসক ও নার্সদের যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: পিআইডি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সদ্য যোগদান করা চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণেই আপনাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেই অর্থে এ কোভিড-১৯ আপনাদের ভাগ্য খুলে দিয়েছে। কাজেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবায় পিছপা হবেন না।’

বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস ভবন অডিটোরিয়ামে ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নতুন করে দুই হাজার চিকিৎসকের পদায়ন শেষে অরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

তিনি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিজের পরিবারের একজন সদস্য ভেবে সেবা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজকের দিনে স্মরণ করছি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, তার পরিবারের সব সদস্যকে যারা শহীদ হয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ২০০০ ডাক্তার এবং ৬০০০ নার্স নিয়োগ দিতে সক্ষম হচ্ছি। এর জন্যে সব থেকে বেশি যাকে ধন্যবাদ দিতে হয়, তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা করবেন। নন কোভিড রোগীর চিকিৎসাও আপনাদের করতে হবে। চিকিৎসার মধ্যে কোনো তফাৎ করা যাবে না, সবাই রোগী। আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, করোনায় প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। অনেকের মধ্যে কোনো লক্ষণও দেখা যায় না। এই রোগে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। স্বাভাবিক চিকিৎসাতেই তারা ভালো হয়ে যায়।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনারা মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবেই ডাক্তার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাস তেমন কোনো ভয়ানক রোগ বলে আমি মনে করি না, অন্তত বাংলাদেশে এই ভাইরাস তেমনভাবে মৃত্যু ঘটাচ্ছে না। আড়াইশ ব্যক্তি এই ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। কিন্তু এটা আমরা বলতে পারি, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। যেখানে এই একই সময় ইউরোপে ২০/৩০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে সেখানে মৃত্যু ও আক্রান্ত অনেক কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হচ্ছে এই ভাইরাস প্রতিরোধে অনেকে কাজ করছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়সহ অনান্য সহযোগী মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে আমরা আলাদা হাসপাতাল তৈরি করেছি যেখানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা হয়। আপনারা জানেন, ঢাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি জেলায়, ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে কমিটি করা হয়েছে। যার ফলে দেশের অনান্য স্থানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। আমরা চাই এই ভাইরাস যেন আর বিস্তার লাভ না করে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের বাইরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২৫০০ জন। আর বাকি সব আক্রান্ত ঢাকা বিভাগে। এখানেই বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে লোকও বেশি, কর্মকাণ্ড বেশি যার ফলে এখানে আক্রান্ত বেশি হয়েছে।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, নিউরো সার্জন বিশেষজ্ঞ ও বিসিপিএসের সভাপতি কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, স্বাস্থ্যসেবা শাখার অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনাসহ অন্য কর্মকর্তারা।

এ সময় নবাগত চিকিৎসকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আর রাফি তামজীদ ও নাজিয়া হাসান জিনা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ