আজকের শিরোনাম :

জুম-এর আদলে আসছে গুগলের মিট অ্যাপ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৩

মহামারি করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর কারণে সম্প্রতি বেড়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলোর চাহিদা। ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ‘মিট’ তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্মুক্ত করতে শুরু করেছে গুগল।

ব্যবসায়িক ও শিক্ষা শ্রেণিভূক্ত জিমেইল গ্রাহকরা বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) থেকে সরাসরি গুগলের ভিডিও কনফারেন্সিং টুল মিট অ্যাপে কল গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। শীঘ্রই অ্যাপের লেআউটেও আনা হচ্ছে একই সেবায় বাজারে থাকা প্রভাবশালী অ্যাপ জুম-এর মতো নকশা।

করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বাড়তি চাহিদার কারণেই অ্যাপটিতে ইমেইল যোগ করা হয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের সলটেরো।

আপাতত শুধু স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দপ্তরের জন্যই চালু রয়েছে মিট। সাধারণ গ্রাহকের জন্য বানানো হ্যাংআউট টুল থেকে আলাদাই রাখা হয়েছে গুগলের এই সেবাটি। জানুয়ারি মাসের পর থেকে গুগলের অন্য যেকোনো সেবার চেয়ে দ্রুত গ্রাহক বেড়েছে এই অ্যাপটির। আর করোনা ভাইরাসের কারণে অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাখো প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে এই সেবায়।

এ বিষয়ে সলটেরো বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে আরও ফিচার যোগ করা হবে ভিডিও কনফারেন্সিং টুলটিতে। প্রতিদ্বন্দ্বী সেবা জুমের মতো কনফারেন্সের সময় ১৬ জন অংশগ্রহণকারীর লেআউট দেখানো হবে টুলটিতে। পাশাপাশি কম আলোর জন্য ভিডিও মান আরও উন্নত করবে মিট। এছাড়া কিবোর্ডের ক্লিক এবং দরজা লাগানোর মতো অবাঞ্ছিত শব্দগুলো ফিল্টার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগেই গুগল ঘোষণা করে, দৈনিক ২০ লাখ নতুন গ্রাহক আসছেন মিট-এ। ইতোমধ্যেই ১৫০টি দেশে শিক্ষা খাতের ১০ কোটিরও বেশির গ্রাহক যোগ হয়েছেন এই সেবায়। বর্তমানে ডেস্কটপ ব্রাউজার বা মোবাইল অ্যাপ হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে সেবাটি।

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ভিডিও চ্যাটিং টুলের ব্যবহারে রেকর্ড বৃদ্ধি এসেছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট, জুম এবং সিসকোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও।

নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে ইতোমধ্যেই জুম নিষিদ্ধ করেছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্কুল। আর নতুন গ্রাহকদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে মাইক্রোসফট এবং সিসকোর সেবা।

তাই সলটেরো বলেন, গত মাসে নতুন ফিচারগুলোর কারণে লাভবান হয়েছে গুগল। নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলগুলো জুম ছেড়ে মিট সেবায় যুক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন সলটেরো। তিনি অবশ্য মিট নামটি উচ্চারণ না করেই বলেন, ‘আমি বারবারই দেখছি নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার শঙ্কায় অন্য সেবার গ্রাহকরা এখানে যুক্ত হচ্ছেন।’

এই সেবার কলে কারা যুক্ত হতে পারবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে গত মাসেই শিক্ষকদের জন্য ফিচার চালু করেছে গুগল। ‘জুমবম্বিং’ ঠেকাতে কয়েক সপ্তাহ পর একই ধরনের ফিচার চালু করে জুম। এর আগে, বিভিন্ন দেশ ও শহরে লকডাউন শুরু হওয়ার পরপরই জুমের বিনামূল্যের সংস্করণটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে অপ্রত্যাশিতভাবে। এই সংস্করণটির নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।

সলটেরো আরও বলেন, বিনামূল্যের টুলগুলোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা না বানানোর বিষয়টি ‘পুরোপুরি ভুল।’ সলটেরো এমনটাও স্বীকার করেছেন যে, সাধারণ গ্রাহকের জন্য গুগলের বিনামূল্যের ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা হ্যাংআউটে নিরাপত্তা এবং সভা নিয়ন্ত্রণের ফিচারের অভাব রয়েছে, যা মিট অ্যাপে নেই।

তিনি বলেন, ‘গ্রাহক যে পণ্যগুলো অফিসে ব্যবহার করছেন, সেগুলো যাতে বাড়িতেও ব্যবহার করতে পারেন’- সেই লক্ষ্যে গুগল নিজস্ব সেবার ফিচারগুলো ঠিক করতে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ