আজকের শিরোনাম :

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাবে গাঁজা : গবেষণা

  জিনিউজ

০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

গাঁজা সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না উপকারী এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই! বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে গাঁজার গুণাবলি বিচার বিশ্লেষণ করে অনেক গবেষণা হয়েছে। তবুও এ বিষয়ে মতপার্থক্য এখনও রয়েছে। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ গবেষণায়ই গাঁজার ক্ষতিকারক দিকগুলোই বারবার সামনে এসেছে।

গবেষকরা একাধিক গবেষণায় বলেছেন, গাঁজা বা মারিজুয়ানার বেশ কয়েকটি ভেষজ গুণ রয়েছে। যেমন- গাঁজা শরীরের ব্যথাবোধ কমাতে সাহায্য করে। গত বছর ফ্রান্সের ‘বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট’র এক গবেষণায় দাবি করা হয়, গাঁজা থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ব্যথানাশক ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব।  

শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সমীক্ষা বলছে, যারা নিয়মিত মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কষ্ট পান, গাঁজা সেবনে তারা সহজেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। ‘বায়োমেডিকেল ইনস্টিটিউট’র গবেষকদের দাবি, গাঁজার মধ্যে রয়েছে ‘ক্যানবিনাইডস’ আর ‘টেপ্রনিস’ নামের দুটি রাসায়নিক যৌগ; যা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রচণ্ড মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় গাঁজা পাতার গন্ধ শুঁকলেও ব্যথার তীব্রতা অনেকাংশে (প্রায় ৫০ শতাংশ) কমে যায়।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং সহকারী অধ্যাপক কেরি কাটলার বলেছেন, এক হাজার তিনশ'র বেশি মাইগ্রেনের রোগীকে দীর্ঘদিন ধরে তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এতে দেখা যায়, গাঁজা সেবনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এর থেকে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে না। বরং, যে কোনো ব্যথানাশক ওষুধ বা পেইন কিলারের চেয়ে অনেক দ্রুত এবং প্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে ব্যথা কমানো সম্ভব।

সম্প্রতি মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিখ্যাত পত্রিকা ‘জার্নাল অব পেইনে’ প্রকাশিত এক গবেষণায় জানানো হয়, ‘স্ট্রেনপ্রিন্ট’ অ্যাপের সাহায্যে গবেষণা চালিয়ে গাঁজা সেবনের আগে ও পরে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় রোগীদের অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখেন গবেষকরা। তারপরই তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, গাঁজা সেবনের ফলে ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাণ তামাক পাতা দিয়ে ধূমপানের চেয়ে কম। তবে গাঁজা সেবনের মাত্রা সামান্য বেশি হলেই মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ