সরকারের নিয়ন্ত্রণ চেয়ে ফেসবুকের সুপারিশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫৮
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন ইন্টারনেটের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে সরকার এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলোর আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হওয়া এক লেখায় ফেসবুকের প্রধান দাবি করেন, ক্ষতিকর কন্টেন্ট যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব শুধু প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কাছে থাকা তাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ তৈরি করবে।
জাকারবার্গ চারটি ক্ষেত্রে নতুন আইনের দাবি জানান, ক্ষতিকর কন্টেন্ট, নির্বাচনের বিশুদ্ধতা, গোপনীয়তা এবং তথ্যের বহনযোগ্যতা।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার ভিডিও বন্দুকধারী লাইভ স্ট্রিম করার দুই সপ্তাহ পর এ বক্তব্য এলো।
জাকারবার্গ লিখছেন যে ফেসবুক ‘একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন করছে যেন মানুষ আমাদের সিদ্ধান্তের (কী পোস্ট করা হচ্ছে এবং কোন পোস্ট সরিয়ে নেয়া হচ্ছে) বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে।’
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এই সংক্রান্ত নতুন আইন যেন বাস্তবায়ন করা হয় সেবিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, এই নতুন নিয়মগুলো সব ওয়েবসাইটের জন্য একই হওয়া উচিত - সে ক্ষেত্রে ‘ক্ষতিকর কন্টেন্ট’ ছড়িয়ে পড়া দ্রুতবেগে রোধ করা সম্ভব।
সংক্ষেপে জাকারবার্গ নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন-
>> ক্ষতিকর কন্টেন্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে সব সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইটকে একই নীতিমালা মেনে চলতে হবে এবং একটি স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে।
>> শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি তিন মাসে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে যেন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনের সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়।
>> বিশ্বের সব জায়গায় নির্বাচনের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে আরী কঠোর আইন প্রণয়ন এবং সব ওয়েবসাইটের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একই মাপকাঠি ব্যবহার।
>> আইন শুধু শুধু নির্বাচনের সময় বা নির্বাচনের প্রার্থীর ক্ষেত্রেই নয়, দরাজনৈতিকভাবে বিভাজিত বিষয়’ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারের সময় পার হওয়ার পরও যেন কার্যকর হতে পারে। >> অনলাইনে ভোটারদের তথ্য ব্যবহার করে তাদের উদ্দেশ্যে কীভাবে প্রচার চালানো হয়, তা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ।
>> গত বছর কার্যকর হওয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন'স জেনারেল ডাটা প্রোটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) মতো গোপনীয়তা নিশ্চিত করা আইন আরও বেশি দেশে কার্যকর করা।
>> ‘সাধারণ বৈশ্বিক কাঠামো’তে এসব আইনকে অন্তর্ভুক্ত করা যেন দেশভেদে এসব আইন বিভিন্ন রকম না হয়।
>> একটি সেবা থেকে অন্য একটি সেবায় ডাটা স্থানান্তরিত করা হলে সেই ডাটার সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার থাকবে, সে বিষয়ে পরিস্কার আইন প্রণয়ন করা। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা লাইভ স্ট্রিমিং সেবায় কড়াকড়ি আরোপ করার চিন্তা করছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ’ এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ মতবাদ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও ঘোষণা দেয়া হয়। শুক্রবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ফেসবুকে প্রকাশিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সঙ্গেও বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ- যেমন এই বিজ্ঞাপন কে দিয়েছেন এবং বিজ্ঞাপণের পেছনে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
>> ক্ষতিকর কন্টেন্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে সব সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইটকে একই নীতিমালা মেনে চলতে হবে এবং একটি স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে।
>> শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি তিন মাসে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে যেন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনের সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়।
>> বিশ্বের সব জায়গায় নির্বাচনের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে আরী কঠোর আইন প্রণয়ন এবং সব ওয়েবসাইটের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একই মাপকাঠি ব্যবহার।
>> আইন শুধু শুধু নির্বাচনের সময় বা নির্বাচনের প্রার্থীর ক্ষেত্রেই নয়, দরাজনৈতিকভাবে বিভাজিত বিষয়’ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারের সময় পার হওয়ার পরও যেন কার্যকর হতে পারে। >> অনলাইনে ভোটারদের তথ্য ব্যবহার করে তাদের উদ্দেশ্যে কীভাবে প্রচার চালানো হয়, তা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ।
>> গত বছর কার্যকর হওয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন'স জেনারেল ডাটা প্রোটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) মতো গোপনীয়তা নিশ্চিত করা আইন আরও বেশি দেশে কার্যকর করা।
>> ‘সাধারণ বৈশ্বিক কাঠামো’তে এসব আইনকে অন্তর্ভুক্ত করা যেন দেশভেদে এসব আইন বিভিন্ন রকম না হয়।
>> একটি সেবা থেকে অন্য একটি সেবায় ডাটা স্থানান্তরিত করা হলে সেই ডাটার সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার থাকবে, সে বিষয়ে পরিস্কার আইন প্রণয়ন করা। ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা লাইভ স্ট্রিমিং সেবায় কড়াকড়ি আরোপ করার চিন্তা করছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ’ এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ মতবাদ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও ঘোষণা দেয়া হয়। শুক্রবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ফেসবুকে প্রকাশিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সঙ্গেও বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ- যেমন এই বিজ্ঞাপন কে দিয়েছেন এবং বিজ্ঞাপণের পেছনে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ