আজকের শিরোনাম :

শাওমির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৪৪

স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা কোম্পানি শাওমি তাদের মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শাওমির বাংলাদেশে স্থাপিত কারখানায় উৎপাদিত ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের উদ্বোধন করেন।

শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য দেন।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা যে যুদ্ধটি শুরু করেছি তা সফলতার দ্বারে কড়া নাড়ছে। আমাদের দেশে এখন ১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত মোবাইল সেট দেশের মোট চাহিদার ৬৫ শতাংশের বেশি পূরণ করছে। চাহিদার শতকরা ৮০ শতাংশ স্মার্টফোন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশের কারখানা থেকে উৎপাদিত ৫জি মোবাইল সেট আমেরিকায় যাচ্ছে। আমরা সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রফতানি করছি। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি হচ্ছে। আমরা সৌদি আরব ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানি করছি। অথচ এক সময় কাপড় কাঁচার সাবান থেকে প্রায় প্রতিটি পণ্য বিদেশ থেকে আমাদের আমদানি করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকের এই পরিবর্তন ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচিরই ফসল। শাওমির বাংলাদেশের কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল সেট দেশের বাইরেও রফতানি হবে বলে আশা করি।

সালমান এফ রহমান বলেন, তরুণ নেতৃত্ব ও শাওমির মতো কোম্পানির ওপর আমাদের যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে। এমন নতুন প্রজন্মের সব কোম্পানি ও উদ্যোক্তাই হচ্ছে বাংলাদেশের একেকটা সফলতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে শাওমির প্রথম উৎপাদন ইউনিট স্থাপনে আমরা অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশের তরুণদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈশ্বিক মানের ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশে এমন সূর্যোদয়ের জন্য শাওমিকে স্বাগত।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য শাওমিকে অভিনন্দন। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ