আজকের শিরোনাম :

ভারতে মোবাইল ফোন চার্জ করতে ককপিটে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের হাতে যাত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৭

'মোবাইলে কী করে চার্জ দেব?' বিমানে উঠে ভদ্রলোক বিমানবালাদের কাছে জানতে চান এক যাত্রী। সোমবার সন্ধ্যেবেলায়, মুম্বাই থেকে ইন্ডিগো সংস্থার কলকাতাগামী বিমানটি ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

উত্তরে বিমানবালারা জানিয়েছিলেন যে ওই ফ্লাইটে যাত্রীদের বসার জায়গায় কোনও মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট নেই, শুধুমাত্র ককপিটে একটাই চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে।

উত্তরটা শুনে আর অপেক্ষা না করেই ঐ যাত্রী চেষ্টা করেন ককপিটের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে।

কাণ্ড দেখে দৌড়ে আসেন বিমানের ক্রুরা। ৩৫ বছরের ওই যাত্রীকে ককপিটে ঢোকা থেকে নিরস্ত করেন তারা। পরে ক্যাপ্টেনের নির্দেশে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে বিবিসি বাংলাকে জানানো হয়েছে, "মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করলে ক্যাপ্টেনের নির্দেশে ওই যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী কোনও যাত্রীর ককপিটে প্রবেশের অধিকার নেই।"

পরে মুম্বাই পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই যাত্রীকে।

এয়ারপোর্ট থানার সিনিয়র কর্মকর্তা অলকা মান্ডাভে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মদ্যপান করে কিছুটা বেসামাল অবস্থায় ছিলেন তিনি। জেরায় জানিয়েছেন যে মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্যই ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী তাকে বিমান থেকে নামিয়ে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করার মতো বা গ্রেপ্তারের মতো কোনও অভিযোগ খুঁজে পাই নি। তাই জেরা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।"

একজন টুইট ব্যবহারকারী আরোহী ত্রিপাঠি লিখেছেন, "ভদ্রলোক নিশ্চয়ই এখন সারাজীবনের জন্য পুরো চার্জ হয়ে গেছেন।"

শেরদিল বান্দরিয়া নামের এক টুইট ব্যবহারকারী একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন, যাতে লেখা রয়েছে, "এত বোকা হওয়াটা নিঃসন্দেহে ভীষণ কঠিন কাজ।"

কে বি এস রামচন্দ্র লিখেছেন, "মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার সকেট খুঁজতে যাওয়াটা সন্ত্রাসের সামিল। এরা ফোন চার্জ দেওয়ার জন্য অন্য যে কোনও ডিভাইস খুলে দিতে পারে - সামান্য কিছুটা বিদ্যুতের প্রয়োজনে। হাসপাতালের আই সি ইউগুলো থেকে মোবাইল চার্জিং পয়েন্ট তুলে দেওয়া হোক।"

তবে কয়েকজন টুইট ব্যবহারকারী সম্ভবত বুঝেছেন ওই যাত্রী কেন হন্যে হয়ে মোবাইলে চার্জ দিতে চাইছিলেন। এরকমই একজন 'রুদ্র'। তিনি লিখেছেন, প্লেনে বসে 'ক্যান্ডি ক্রাশ' খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আশিস নামের আরেকজন মজা করে লিখেছেন, "মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার থেকে বড় কোনও এমারজেন্সি কী আর কিছু হতে পারে?'

এই প্রসঙ্গেই আরেকটি খবর নিয়েও আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে।

দিল্লি থেকে পাটনাগামী অন্য একটি বেসরকারি সংস্থার উড়ানের পিছন দিকের দরজা ধরে টানাটানি করছিলেন ২৫-২৬ বছর বয়সী এক যুবক।

সহযাত্রীরা সেটা দেখে চেঁচামেচি করলে ক্ররা তাকে নিরস্ত করেন। পরে জানা যায় তিনি আসলে বাথরুমের দরজা ভেবে প্লেনের দরজা ধরে টানছিলেন। ওই ব্যক্তি সেবারই জীবনে প্রথমবার প্লেনে চড়েছিলেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ