আজকের শিরোনাম :

সময়ের চাহিদা মেটাতে অডিট ফার্মগুলোও ডিজিটালাইজড হচ্ছে : মোস্তাফা জব্বার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ২০:০৩

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে পৃথিবীতে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব হবে না। সময়ের চাহিদা মেটাতে দেশের অডিট ফার্মসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেদের ডিজিটালাইজড করতে শুরু করেছে। বিষয়টি প্রথম দিকে চ্যালেঞ্জিং হলেও ধীরে ধীরে ডিজিটাল পদ্ধতি সহজেই আয়ত্তে চলে আসছে। বাঙালি যে মেধাবী এবং উদ্ভাবনকে সহজেই আয়ত্তে আনতে সক্ষম ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফলতা তার প্রমাণ। অগ্রগতিকে বেগবান করতে চিন্তা ও কাজে ডিজিটাল যুগকে মাথায় রেখে এগুতে হবে।

গতকাল ঢাকায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্স অভ্ বাংলাদেশ (আইসিএবি)-এর উদ্যোগে ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড ডিসিমিনেশন অভ্ অডিট প্রাকটিস সফটওয়্যার ফর সিএ ফার্মস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে অডিট প্র্যাকটিস সফটওয়্যারের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী নিরীক্ষা কর্যক্রমে প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে পেশাগত কারণে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদেরকে নিরীক্ষার সর্বাধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য উল্লেখ করে কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যারের জনক মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স কিংবা আইওটি ব্যবহার করতে হবে জানতে হবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে নিরীক্ষার সর্বোত্তম মান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে কৃষি যুগের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করা বিস্ময়কর ঘটনা। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ী অঙ্গীকার। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

অনুষ্ঠানে আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদউল হাসান খসরু, আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল কাদের জোয়াদ্দার এবং সিইও শুভাশীষ বসু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার।

বক্তারা ডিজিটাল ব্যবস্থার আত্মীকরণের ফলে নিরীক্ষা মানোন্নয়ন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং সময় ও ভুল কমিয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সূচনা পর্বে ৫৬টি অডিটিং ফার্ম এই সফটওয়্যার আত্মীকরণ করবে এবং পরে অন্য ফার্মগুলোও এর ব্যবহার শুরু করবে।


 এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ